ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এখনও পর্যন্ত তাদের ২১৬টি নথি দিয়েছে বলে হাইকোর্টে জানালেন সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) আইনজীবী। আগামীকালের মধ্যে বাকি সমস্ত নথি ৫ অভিযুক্তের আইনজীবীকে হস্তান্তরিত করতে সিবিআই-কে নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের। ১৮ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। যা প্রশাসনের ভিতরেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে এবং প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও দূষিত করতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর।
আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সমস্ত নথি তাদের দিচ্ছে না, নথি পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh), সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ সহ ৫ অভিযুক্ত। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ, সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহের আইনজীবী জানালেন, সিবিআই এখনও পর্যন্ত ৪৬২টি নথির মধ্যে ২১৬টি নথি তুলে দিয়েছে তাঁদের হাতে। সেই শুনে আগামীকাল অর্থাৎ ১২ তারিখের মধ্যে সিবিআই-কে বাকি সমস্ত নথি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Maipith Royal Bengal Tiger : রয়্যাল বেঙ্গলের মুখে বনকর্মী ! বাঘে-মানুষে লড়াইয়ের সাক্ষী মৈপীঠ
সমস্ত নথি ৫ অভিযুক্তকে হস্তান্তরিত করতে নির্দেশ (Sandip Ghosh)
সমস্ত নথি পাওয়ার পর অভিযুক্তরা নিম্ন আদালতে তাঁদের বক্তব্য জানাতে পারবেন বলে জানালেন বিচারপতি বাগচী। আগামীকাল আলিপুর কোর্টেও এই মামলার শুনানি রয়েছে। চলতি সপ্তাহে সেখানে আরও একটি শুনানি হতে পারে। নিম্ন আদালতে শুনানিতে কী হলো, তা আগামী ১৮ তারিখ শুনবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। তারপর কবে আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চার্জ গঠনের শুনানি শুরু হবে, সেই নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। এই ধরনের দুর্নীতি প্রশাসনের ভিতরেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। যা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও দূষিত করে দিতে পারে বলে জানান বিচারপতি বাগচী। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী আরও বলেন, আদালত মনে করছে আইন মেনে এই মামলার দ্রুত বিচার হলে সাধারণ মানুষের মনে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়বে। এই মামলায় সরকারি আধিকারিকরা যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিচার বা ট্রায়াল শুরু করা দরকার।
আরও পড়ুন: Narkeldanga Fire: শহরে ফের ঝুপড়িতে আগুন, নারকেলডাঙায় ছাই ৪০ ঝুপড়ি, মৃত ১
দুই বিচারপতি তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলেন, সারা দেশেই মামলাকে বিলম্বিত করার একটা প্রবণতা দেখা যায়। এই মামলায় আদালত তা মেনে নেবে না। এই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় স্বচ্ছ ট্রায়াল খুবই গুরুত্বপূর্ণ(Sandip Ghosh) । অভিযুক্তরাও যাতে সমস্ত নথি দেখে স্বচ্ছতার সঙ্গে আইনি লড়াই লড়তে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। আইনে সকলের সমান অধিকার আছে। তাই এদিনও সিবিআই-কে আগামীকালের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের হাতে বাকি সমস্ত নথি তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।