ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যে চালু থাকা স্বাস্থ্যসাথী (HC On Swasthya Sathi) প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক মানুষ। বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করছে। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানির পর মামলাটি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্যসাথী একটি সরকারি প্রকল্প (HC On Swasthya Sathi)। রাজ্য সরকার জনগণের সেবায় যে কোনও প্রকল্প চালু করতেই পারে। যেহেতু এটি সরকারি সিদ্ধান্ত তাই আদালত এখানে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। কোনও সমস্যা হলে প্রয়োজনে বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
রাজ্যবাসীর চিকিৎসার সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে চালু করেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প (HC On Swasthya Sathi)।রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের নামে একটি করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেয় রাজ্য সরকার। বলা হয়, সরকারি বা বেসরকারি, যে কোনও হাসপাতালে সেই কার্ড দেখালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এই প্রকল্প চালুর পর থেকেই অভিযোগ আসে, একাধিক হাসপাতাল ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ ফিরিয়ে দিচ্ছে। তার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক হুঁশিয়ারির পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/bengal-bjp-not-fulfil-membership-target/
২০২১ সালে একটি সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল (HC On Swasthya Sathi)। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের ফয়দা তুলতেই রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য বিমার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই সুবিধা অনেকেই পান না। বেশিরভাগ হাসপাতালেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করা হয় না, রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয় রোগীর পরিবার-পরিজনদের।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/wb-two-women-lost-their-lives-due-to-maha-kumbha-2025/
বৃহস্পতিবার সেই মামলাটির শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের (HC On Swasthya Sathi) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলাটি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘সাধারণ মানুষের সেবায় রাজ্য সরকার যেকোনো জনহীতিকর প্রকল্প চালু করতেই পারে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প সেই রকমই একটি সরকারি সিদ্ধান্ত। সরকারি নিয়ম-কানুন মেনেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তাই আদালত এ ব্যাপারে কোনরকম হস্তক্ষেপ করবে না। এই প্রকল্প না থাকলে কী করতেন? কোনও রকম সমস্যা বা অসুবিধা হলে প্রয়োজনে বিধায়ক বা সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলুন।’