ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আড়াই বছর ধরে ৬১ টি শুনানির পর (Calcutta High Court) এখনও ২০১৬ র উচ্চ-মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাই কোর্টে। শুক্রবার তারই প্রতিবাদে আদালত চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। অতিরিক্ত শূন্যপদে (সুপার নিউমেরারি) দ্রুত নিয়োগ করতে চায় রাজ্য। আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এই নিয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার আর্জিও জানায় তারা। যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী তার বিরোধিতা করে। এর পরেই শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে চেয়ে লিখিত আবেদন করুক রাজ্য।
শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে হস্তক্ষেপ করেনি (Calcutta High Court)
২০১৬ র উচ্চ-মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে রাজ্য (Calcutta High Court)। রাজ্যের এই অতিরিক্ত শূন্যপদের সিদ্ধান্ত নিয়েই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ২০২৩-এর এপ্রিলে এই শূন্যপদে নিয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি, মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মতো অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে হস্তক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত।
আবেদন করার নির্দেশ দেয় আদালত (Calcutta High Court)
সেই মামলারই শুনানি ছিল হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তুলে ধরে রাজ্যের দাবি, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছে (Calcutta High Court)। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ‘সুপার নিউমেরারি পোস্ট’ পোস্ট বৈধ। ফলে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগে কোনও বাধা নেই। তাতেই রাজ্যকে এবিষয়ে লিখিত আবেদন করার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি বসুর বক্তব্য, মৌখিক নয়, সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বক্তব্য কী, তা স্পষ্ট করে রাজ্যকে এনিয়ে লিখিত আবেদন দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Pahalgam News: জঙ্গি হামলায় শহিদ ভারতীয় সেনা, রক্তের বদলা চান ঝন্টুর স্ত্রী!
‘রাজ্য নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারে না’
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর বলেন, “এখনও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সিবিআই চার্জশিটে ৭৬ কোটি টাকা দুর্নীতির কথা জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় ওএমআর প্রকাশ করতে বলে। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও দুর্নীতি যুক্ত।” তাঁর দাবি, “ওএমআর প্রকাশ করা জরুরি। যাদের ওই পদে নিয়োগ হয়েছিল তাঁদের সুরক্ষাও জরুরি। রাজ্য নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারে না।”