Last Updated on [modified_date_only] by
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হাইকোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court) পরিচয়ে দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরাসরি এক আইএএস অফিসারকে ফোন করে, নিজেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল ব্যক্তির উপর। আইএএস অফিসারকে ফোন করে টাকা তোলার কথা জানতে পেরেই পুলিশে নালিশ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই পবন পান নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি (Calcutta High Court)
সূত্রের খবর, বিচারপতির (Calcutta High Court) নাম করে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যাক্তি টাকা তুলছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম করে আর্থিক প্রতারনা করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার অভিযোগ উঠল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পরিচয়ে প্রতারণার। বিচারপতির নাম নিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তুলছিলেন পবন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে গ্রেফতার হন পবন।
কনৌট প্লেসে আটকে পড়েছেন (Calcutta High Court)
সুপ্রিম কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামেও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সে বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি মেসেজে দেখা যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টাকা চাইছেন। খুব বেশি নয়, মাত্র ৫০০ টাকা। ওই মেসেজে প্রধান বিচারপতি বলছেন, কলোজিয়ামের বৈঠক রয়েছে কিন্তু তিনি কনৌট প্লেসে আটকে পড়েছেন। ক্যাব ভাড়ার জন্য ৫০০ টাকা পাঠালে সাহায্য হয়। সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Brother Pushes Brother In River: কেক কেনার নাম করে জন্মদিনেই ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল দাদা
৩০ শতাংশ অগ্রিম দেবে
এই কাজের জন্য ৫০ শতাংশের বদলে ৩০ শতাংশ অগ্রিম দেবে বলেও জানিয়েছিল অভিযুক্ত। ফোন পেয়ে সন্দেহ হয় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তার। তাঁর থেকে বিষয়টি জানতে পেরে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশাসনের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যে মোবাইল থেকে অভিযুক্ত ফোন করেছিল, তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা সেটির টাওয়ারের অবস্থান নির্ণয় করে পবনকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জামিনের আর্জি জানালে তা খারিজ
হেয়ার স্ট্রিট থানার এই মামলায় অভিযুক্ত পবন পালকে শনিবার গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী জানান ‘‘পবন হাই কোর্টের বিচারপতির নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করে বিভিন্ন আইএএস অফিসার, সরকারি কর্তার কাছ থেকে টাকাও চাইত।’’ পবনের কোনও আইনজীবী না থাকায় তার হয়ে মামলা লড়েন এলএডিসি-র আইনজীবী। তিনি তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানালে তা খারিজ করে আদালত। ধৃতের বাড়ি পূ্র্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। রবিবার পবনকে কলকাতার সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিজয়িতা দে ২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।