ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় যে সমস্ত সিসি ক্যামেরা (Calcutta High Court) বসানো রয়েছে, তার অধিকাংশই কাজ করে না বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন এই সমস্ত ক্যামেরাগুলির সক্রিয়তা যাচাই করা হয়নি। ফলে তা থেকে কোনও তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। এই মর্মে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী তথাগত দত্ত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। রাজ্যের থানাগুলিতে সিসিটিভির আধুনিকীকরণ নিয়ে ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত এক মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আট সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে।
ফুটেজ পেশ করতে পারেনি রাজ্য (Calcutta High Court)
সম্প্রতি যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই ছাত্রীর হেনস্থার বিষয়টিও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় (Calcutta High Court)। যেখানে থানায় অত্যাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল বলে দাবি মামলায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ সত্ত্বেও থানার ভিতরের পূর্ণাঙ্গ সিসিটিভি ফুটেজ পেশ করতে পারেনি রাজ্য। এছাড়াও সিসিটিভির আধুনিকীকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের অধিকাংশ থানা মানছে না বলে অভিযোগ।
বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে (Calcutta High Court)
বিচারের স্বার্থে আদালত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চাইলেও তা পেশ করতে পারছে না পুলিশ (Calcutta High Court)। যার জেরে বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একটি জনস্বার্থ মামলায় গোটা রাজ্যের থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরার হালহকিকত নিয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজি-র কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমা
আদালতের বক্তব্য, ‘‘মামলাকারী যে অভিযোগগুলি করছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনকে। এই নির্দেশ জারির আট সপ্তাহের মধ্যে আমরা রিপোর্টটি দেখতে চাই।’’ মামলাকারী আদালতে জানিয়েছেন, জেল এবং থানার ভিতরে সিসি ক্যামেরা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য এই ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Teachers Protest: স্কুলে ফিরলে বঞ্চিতদের লড়াই জারি, বিকাশ ভবন অভিযানের প্রস্তুতি
কোর্ট সেই প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে
সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে থানা এবং জেলে সিসিটিভি বসানো, তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, জানতে চেয়েছেন মামলাকারী। রাজ্যের তরফে এই মামলায় আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, অনির্বাণ রায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীতা সাউ এবং আকাশ দত্ত।
‘আপডেটেড সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে’
এই পরিস্থিতিতে মামলাকারী তথাগত দত্তের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি। রাজ্যের সমস্ত থানাগুলিতে আপডেটেড সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। সেই সিসি ক্যামেরাগুলিতে থাকতে হবে নাইট ভিশন। প্রত্যেকটি ক্যামেরায় থাকতে হবে অডিয়ো রেকর্ডিংয়েরও ব্যবস্থা। আর থানাগুলিতে এমনভাবে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে যাতে শৌচাগার ছাড়া থানার সমস্ত জায়গা ক্যামেরার আওতায় আসে। রাজ্যের বেশিরভাগ থানায় এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। সত্যিই কি মানা হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ? এবার সেটা জানতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।