ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জাতি গণনা (Caste Data in Next Census), ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জাতীয় জনতা দল এবং কংগ্রেস যখন জোটবদ্ধ ছিল, তখন রাজ্যে একটি কাস্ট সমীক্ষা করেন নিজের রাজ্যে।
ক্যাবিনেট কমিটির সিদ্ধান্ত (Caste Data in Next Census)
২০২৫ সালের জাতীয় জনগণনায় জাতি ও উপজাতি অনুযায়ী জনগণের সংখ্যা গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Caste Data in Next Census)। এই সিদ্ধান্ত বুধবার দুপুরে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ক্যাবিনেট কমিটি আগামী জনগণনায় জাতি অনুযায়ী গণনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বিরোধীদের সমালোচনার জবাব (Caste Data in Next Census)
অশ্বিনী বৈষ্ণব কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সমালোচনার জবাবে বলেন (Caste Data in Next Census), কংগ্রেস সরকার সবসময় জাতি অনুযায়ী জনগণনা বিরোধিতা করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে জনগণনায় জাতি অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জাতি অনুযায়ী জনগণনার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন, কিন্তু পরে কংগ্রেস সরকার শুধুমাত্র একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছিল।
বিহার সরকারের জাতি সমীক্ষা ও তার প্রভাব
২০২৩ সালের অক্টোবরে বিহার সরকার একটি জাতি ভিত্তিক সমীক্ষা পরিচালনা করে, যেখানে দেখা যায় রাজ্যের ৬৩ শতাংশ জনসংখ্যা অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্গত। এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর, বিহার সরকার সংরক্ষণ সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় পর্যায়ে জাতি ভিত্তিক জনগণনার দাবি জোরদার হয়।
আরও পড়ুন: Ashok Khemka Retirement: ৩৪ বছরে ৫৭ বার বদলির পর অবশেষে প্রশাসনিক জীবনে ইতি টানছেন IAS অশোক খেমকা
জাতীয় রাজনীতিতে জাতি ভিত্তিক জনগণনার প্রভাব
জাতি ভিত্তিক জনগণনার সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেস, এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছে যে এটি সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়নে সহায়ক হবে। অন্যদিকে, কিছু রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে নিজস্বভাবে জাতি ভিত্তিক সমীক্ষা পরিচালনা করেছে, যা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে।
আইনি দিক ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারই জাতি ভিত্তিক জনগণনা পরিচালনা করতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে সংরক্ষণ নীতিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে, যা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির উন্নয়নে সহায়ক হবে।