ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইজরায়েল। এই কথা নিজেই জানিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Ceasefire In Gaza)। তবে হামাস এখনও এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বলে মার্কিন প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্পের ঘোষণা (Ceasefire In Gaza)
মঙ্গলবার এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমার প্রতিনিধিদের ইজরায়েলের সঙ্গে গাজা নিয়ে একটি দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ইজরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে সম্মতি দিয়েছে(Ceasefire In Gaza)। এই সময়ের মধ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে মিলে যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করব। কাতার ও মিশর এই প্রস্তাব হামাসের কাছে পৌঁছে দেবে।” ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি আশা করি হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে, কারণ এর থেকে ভালো কিছু তারা আর পাবে না — পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই যাবে।”
কাতার ও মিশরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা (Ceasefire In Gaza)
সিএনএন-এর সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবারই কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা ইজরায়েল ও হামাসের কাছে এই নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলে ধরেছেন(Ceasefire In Gaza)। গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একই দিনে ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডারমার মার্কিন শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই প্রস্তাবে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিনিময়ের শর্ত—ইজরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। আগের যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখ্যান করেছিল, এবার সেই অসন্তোষের জায়গাগুলি সংশোধন করা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের দাবি।

ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের পর নতুন সমীকরণ (Ceasefire In Gaza)
এই প্রস্তাব এমন সময়ে এসেছে, যখন কাতারের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ইরানে আমেরিকা ও ইজরায়েলের যৌথ হামলার পর পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল(Ceasefire In Gaza)। গাজাতেও দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতে দুই পক্ষই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।

হামাস কি গ্রহণ করবে প্রস্তাব? (Ceasefire In Gaza)
তবে যুদ্ধবিরতি হলেও সমস্যা শেষ নয়। হামাসের মূল দাবি—যুদ্ধের স্থায়ী অবসান এবং গাজায় তাদের শাসনব্যবস্থা বজায় রাখা। এই দাবিকে ইজরায়েল পুরোপুরি নাকচ করেছে। ফলে ৬০ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এক মার্কিন সূত্র জানিয়েছে, হামাস কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখাতে পারে, তবে এখনও তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

আরও পড়ুন: Blackout Bomb : চিনের নতুন ‘ব্ল্যাকআউট বম্ব’! নিঃশব্দে অচল করে দিতে পারে গোটা শহর
নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠক আসন্ন (Ceasefire In Gaza)
আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu)। ট্রাম্প বলেছেন, “নেতানিয়াহু যুদ্ধ শেষ করতে চান। আমি মনে করি, আগামী সপ্তাহেই আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছতে পারব।” এই প্রস্তাব কার্যকর হলে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। তবে হামাসের সম্মতি ছাড়া সেই সম্ভাবনা অনিশ্চিত। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ভবিষ্যৎ এখন হামাসের একটাই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।