ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রবল জবাবে বিধ্বস্ত পাকিস্তান এবার ফের চিনের আশ্রয় নিল(Chinese J 35A Fighter Jet)। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাক বায়ুসেনার অন্তত ১১টি ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর বেজিং দ্রুততার সঙ্গে ইসলামাবাদকে ‘উপহার’ হিসেবে দিচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫এ স্টেলথ যুদ্ধবিমান।
পাকিস্তানকে ৪০টি জে-৩৫এ, ৫০ শতাংশ ছাড়ে (Chinese J 35A Fighter Jet)
বিশ্ব বাজারে চিনা অস্ত্রের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে পাক সেনার করুণ পরিণতির পর বেজিং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর,
- চলতি বছরের আগস্টের মধ্যেই প্রথম ব্যাচ হাতে পাবে পাক বায়ুসেনা।
- চিন ৫০ শতাংশ ছাড়ে ৪০টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে ইসলামাবাদকে।
- অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানকে সহজ শর্তে অর্থপ্রদানের সুবিধাও দিয়েছে চিন।
চিনের ‘উদারতা’র পেছনে কূটনৈতিক অঙ্ক (Chinese J 35A Fighter Jet)
বিশেষজ্ঞদের মতে,
- “অপারেশন সিঁদুর”-এ চিনা অস্ত্রের বারবার ব্যর্থতা বেজিংকে চাপের মুখে ফেলেছে।
- বিশ্ববাজারে চিনা যুদ্ধাস্ত্রের গ্রহণযোগ্যতা কমছে, তাই পাকিস্তানে এগুলি রফতানি করে কার্যকারিতা প্রমাণ করতে চাইছে শি প্রশাসন।
- পাশাপাশি, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) সফল করতে পাক ভূখণ্ডে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বজায় রাখা প্রয়োজন বেজিংয়ের।

আরও পড়ুন: Donald Trump : ট্রাম্পের সীমান্ত নীতিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে কটাক্ষ বাইডেনের !
ভারতের জবাবেই বদলে গেল ডেলিভারি টাইমলাইন (Chinese J 35A Fighter Jet)
মূলত ২০২৭ সালে যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা থাকলেও, ভারতের হামলার পর দ্রুত সেই সময়সীমা এগিয়ে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই
- পাক বায়ুসেনার অফিসারদের একটি দল জে-৩৫ ওড়ানো এবং যুদ্ধকৌশল শেখার জন্য বেজিং গিয়েছেন।
- যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা শেনইয়াং এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন জানিয়েছে, প্রয়োজন মতো দ্রুত ডেলিভারি হবে।
জে-৩৫এ যুদ্ধবিমান কী আছে? (Chinese J 35A Fighter Jet)
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
প্রজন্ম | পঞ্চম |
শ্রেণি | স্টেলথ |
ইঞ্জিন | দ্বৈত ইঞ্জিন |
প্রথম ফ্লাইট | ২০১২ |
রপ্তানি শুরু | ২০২3-এর সেপ্টেম্বর থেকে |
নির্মাতা | Shenyang Aircraft Corporation |
তুলনা | মার্কিন এফ-৩৫-এর সঙ্গে তুলনা করে চিন |
তবে এখনো পর্যন্ত কোনও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি এই বিমান, ফলে এর বাস্তব ক্ষমতা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

আরও পড়ুন:Balochistan School Bus Attack : বালোচিস্তানে স্কুলবাসে বিস্ফোরণ, ঘটনায় শিশু-সহ নিহত পাঁচ!
চিনা অস্ত্রের দফায় দফায় ব্যর্থতা (Chinese J 35A Fighter Jet)
ভারতের অপারেশনে পাকিস্তান যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাতে চিনের (Xi Jinping) সরবরাহ করা অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
ব্যর্থতার তালিকা:
- জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান: ভারতের আঘাতে ধ্বংস।
- এইচকিউ-৯পি এয়ার ডিফেন্স: লাহৌরে ভারতীয় ড্রোন হামলায় উড়ে যায়।
- পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র: বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে ভারতীয় এলাকায় পড়ে যায়।
- সোয়ার্ম ড্রোন হামলা: ভারতের এয়ার ডিফেন্সে ধ্বংস।
ওএসআইএনটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে ভারতীয় মোতায়েনের উপর চিনা উপগ্রহ নজরদারি চালিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চিন-পাক যৌথ আক্রমণের ইঙ্গিত।

পিওকে ভারতের দখল চিনের দুঃস্বপ্ন (Chinese J 35A Fighter Jet)
CPEC প্রকল্পের রুট পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চল ভারতের হাতে গেলে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই—
- গ্বদর বন্দর সুরক্ষিত রাখতে পাকিস্তানকে চাপে রেখেছে চিন।
- দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই $২৫ বিলিয়ন (২,৫০০ কোটি ডলার) বিনিয়োগ করছে বেজিং।
স্বদেশি যুদ্ধবিমান ও বিদেশি রফতানি চুক্তি (Chinese J 35A Fighter Jet)
ভারতের হাতে এই মুহূর্তে কোনও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নেই। তবে—
- দেশীয় প্রযুক্তিতে ‘অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট’ (AMCA) নির্মাণ চলছে।
- জেট ইঞ্জিন প্রযুক্তিতে এখনও পিছিয়ে ভারত।
- ফলে আমেরিকা বা রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনায় মস্কোর এসইউ-৫৭-র নাম শীর্ষে।
পাকিস্তানের ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতে চিনের এই পদক্ষেপকে কেউ কেউ “রাজনৈতিক অস্ত্র প্রতিস্থাপন কৌশল”, আবার কেউ দেখছেন “সাংঘাতিক সামরিক বন্ধুত্বের চরম নিদর্শন” হিসাবে। তবে বাস্তব বলছে—পাক-চিন সামরিক আঁতাত যতই জোরদার হোক, ভারতের কূটনৈতিক কৌশল, সামরিক দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা আগামী দিন নির্ধারণ করবে।