Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চোপড়া কাণ্ডের (Chopra Case) পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৪ দিন। এখনো অধরা চোপড়া কান্ডের মুল অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান (Mujibur Rahman)। কোথায় গা ঢাকা দিল মুজিবুর? কেনও মুজিবুরের কোনো খোঁজ পাচ্ছেনা পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন। আতঙ্কের ছাপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দারা।
আসামি ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ (Chopra Case)
গোয়ালপোখরের (Goalpokhar) পর চোপড়া (Chopra Case)। শনিবার আসামি ধরতে গিয়ে কালিকাপুরে ফের আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে (Police)। ভাইরাল হয় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তির ভিডিও। মুজিবুর রহমানকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে নেন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। চলে গুলি, উদ্ধার হয় গুলির খোল। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু কেনও এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি? কে এই মুজিবর রহমান?
মুজিবুরকে আটক করতেই বিপত্তি (Chopra Case)
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত মুজিবুর রহমান। মুজিবুর রহমানের নামে একাধিক অভিযোগ ছিল চোপড়া থানায় (Chopra Case)। সে একাধিক অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও স্থানীয় সূত্রের খবর। সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। মুজিবুরকে আটক করে গাড়িতে তোলার সময় গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়ায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

কোথায় গেল? কেন নিখোঁজ মুজিবুর?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়া হলে তা দেখাতে পারেনি পুলিশ। যার জেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবুরের বাড়ির লোক তাঁকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। শুরু হয় পুলিশ-গ্রামবাসীদের ধস্তাধস্তি। সুযোগ বুঝে এলাকা ছেড়ে মুজিবুর গা ঢাকা দেয় আর তাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশ ভ্যান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে পাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেখানে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে মুজিবুরের অনুগামীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। উদ্ধার হয় গুলির খোল।

চাঞ্চল্যকর দাবি বিধায়ক হামিদুর রহমানের
গ্রাম জুড়ে শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। ঘটনায় ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে ৫ জনকে গ্রেফতার করে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তল্লাশি চালিয়ে মুজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তীর ধনুক উদ্ধার করে পুলিশ। এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর দাবি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের। বিধায়কের নিশানায় কালিকাপুরের এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও সুজালির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আব্দুস সাত্তার।
আরও পড়ুন: Government Bicycles: প্রকাশ্যে বিক্রি সরকারি সাইকেল! লোগো লাগানো অবস্থাতেই দর কষাকষি
হতে চলেছে গোয়ালপোখর কাণ্ডের পুরাবৃত্তি?
মুজিবুরের খোঁজে শনিবার গভীর রাত থেকে এলাকায় চলে পুলিশের তল্লাশি অভিযান। মুজিবুর বিহারে পালিয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে গোয়ালপোখর বা চাকুলিয়াতে গা ঢাকা দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। কিন্তু কোথায় গেল মুজিবুর? ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কেনও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ? হতে চলেছে গোয়ালপোখর কাণ্ডের পুরাবৃত্তি ? মুজিবুরের মাথায় কি তাহলে প্রভাবশালী কারও হাত? উঠছে প্রশ্ন।