ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত জঙ্গিপুর। এই পরিস্থিতিতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে (Waqf Law) সামনে রেখে বিভাজনের রাজনীতির তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘আমাদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই, দিদি আপনাদের ও আপনাদের সম্পত্তি রক্ষা করবে’ বললেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর (Waqf Law)
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জৈনদের আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ঐক্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব হলেন নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Law) নিয়ে। বললেন, “আমাদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। অন্যের সম্পত্তি নেওয়ার অধিকার আমারও নেই।” আশ্বস্ত করে বললেন, “দিদি যতদিন আছে আপনাদের সম্পত্তি সুরক্ষিত।”
আরও পড়ুন: Fartilizer Factory In Panagarh: পানাগড়ে হবে সার কারখানা, মিলল মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন
তিনি আরও বলেন, “সংখ্যালঘুদের বলছি, আপনাদের ওয়াকফ নিয়ে দুঃখ হয়েছে বুঝতে পারছি। আপনারা সবাই একসঙ্গে বাঁচার কথা বলুন। কেউ কেউ রাজনৈতিক প্ররোচনা দেয়। আমি বলছি, আপনাদের প্রপার্টি সুরক্ষিত থাকবে। কেউ উস্কানিতে পা দেবেন না।”

ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত জঙ্গিপুর (Waqf Law)
গত সপ্তাহেই সংসদে পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Law) । রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে তা এখন আইন। বলবৎ আজ থেকেই। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগে এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। দেশের বিভিন্নপ্রান্তের মুসলিমরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। একই পরিস্থিতি বাংলাতেও।
আরও পড়ুন: SSC Case: চাকরিহারাদের স্বেচ্ছায় উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার সম্মতি দিল সংসদ!
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ালেন আন্দোলনকারীরা। জঙ্গিপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলছে পুলিশি টহলদারি। বুধবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা। বন্ধ আন্তর্জাল পরিষেবা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বস্তুত, সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Law) প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত শান্তি ফেরাতে তৎপরতা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।