ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঘরে-ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে মাটির নীচে পাইপ লাইন বসানোর কাজ। যদিও এই কাজ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। মাটি পরীক্ষা না করেই পাইপ লাগানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন ঠিকাদাররা। এই নিয়ে আসছে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ। অন্যদিকে, পাইপ আছে, কল আছে কিন্তু জল নেই! আমজনতার এই জল যন্ত্রণার জন্য কারা দায়ী? সোমবার বিধানসভায় পিএইচই’র বৈঠকে প্রশ্ন তুলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জলের টাকা নয়ছয়ে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”ডিভিসির জন্য ২০ লক্ষ মানুষ জল পাচ্ছে না।” এমনকী, জলজীবন প্রকল্পেও কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে দাবি করেন। বলেন, ”ভোটের সময় বলে কেন্দ্র বলে ঘরে ঘরে জল দিচ্ছে। আসলে এই প্রকল্পে কেন্দ্র ১০ শতাংশ দেয় আর রাজ্য দেয় ৯০ শতাংশ টাকা। পানীয় জল চাষের জমিতে ব্যবহার হচ্ছে। সমীক্ষা না করেই ঠিকাদাররা পাইপ বসিয়েছে। ১৮ হাজারেরও বেশি জায়গায় জল অপচয় হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জলের অপচয় পূর্ব বর্ধমান, নদিয়ায়।” শুধু তাই নয়, পানীয় জলে বেনিয়মে ইতিমধ্যে ৪৮৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/cm-mamata-banerjee-speaks-about-home-tourism-at-wb-assembly-on-today/
উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ একাধিক সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা। সেখানেই কোন অঞ্চলের জল সরাবরাহ পরিষেবায় কী সমস্যা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এমনকি এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে PHE-দফতর নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ে বসার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।