CPIMs Brigade: ব্রিগেড সমাবেশে বামেদের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি তুঙ্গে, যানজটের আশঙ্কায় সতর্ক কলকাতা পুলিশ!

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামীকাল রবিবার, ব্রিগেড ময়দানে সিপিএমের (CPIMs Brigade) বিভিন্ন গণ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত হতে চলেছে এক বিশাল সমাবেশ। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বাম সমর্থকদের মধ্যে এই সমাবেশ ঘিরে তীব্র উৎসাহ দেখা দিয়েছে। ছুটির দিনে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক কলকাতায় আসবেন বলে জানানো হয়েছে, ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক মিছিল বেরোবে।

কলকাতা পুলিশের অনুমান (CPIMs Brigade)

কলকাতা পুলিশের অনুমান, ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে অন্তত (CPIMs Brigade) সাতটি বড় মিছিল ও একাধিক ছোট মিছিল শহরের রাস্তায় বেরোবে। হাওড়া, শিয়ালদহ, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, এক্সাইড মোড়, ভিক্টোরিয়া হাউসসহ মোট আটটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমায়েত করে সেখান থেকে মিছিল রওনা দেবে ব্রিগেডের উদ্দেশে।

পুলিশ প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ (CPIMs Brigade)

এমন পরিস্থিতিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা পুলিশ প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে (CPIMs Brigade) দাঁড়াতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বড় মিছিলগুলি মূলত হাওড়া স্টেশন, ব্রেবোর্ন রোড, রবীন্দ্র সরণি, ধর্মতলা হয়ে ব্রিগেডে যাবে। আবার শিয়ালদহ থেকে এ জে সি বসু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে মিছিল প্রবেশ করবে ধর্মতলায়।

রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা (CPIMs Brigade)

এর ফলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, রেড রোড, পার্ক স্ট্রিট, মেয়ো রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, সিআইটি রোড-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা (CPIMs Brigade) রয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরের ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে ১৩টি জায়গায় থাকবেন একজন অতিরিক্ত এসি নেতৃত্বাধীন বাহিনী। যদিও তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মতো সমাবেশের আগের রাত থেকেই বাহিনী মোতায়েন থাকবে না। রবিবার ভোর থেকে পুলিশ রাস্তায় নামবে এবং ব্রিগেড সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালাবে।

নির্দিষ্ট পার্কিং-এর ব্যবস্থা

পুলিশ জানিয়েছে, ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিভিন্ন জেলার গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জে সি বসু রোড, মেয়ো রোড, ও ময়দান এলাকার নির্দিষ্ট কিছু স্থানে গাড়ি রাখার অনুমতি থাকবে। তবে সবমিলিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের চিন্তার কারণ শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা। যেহেতু রবিবার শহরে সাধারণত যানচলাচল তুলনামূলক ভাবে কম থাকে, তাই প্রশাসন আশাবাদী যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

আরও পড়ুন: Dolon Roy: দিলীপ ঘোষের নতুন জীবন নিয়ে ট্রোল! প্রতিবাদ করলেন দোলন

যাঁরা ওই দিন শহরে বেরোবেন, তাঁদের পুলিশ পরামর্শ দিয়েছে বিকল্প রুট ব্যবহার করতে এবং ট্র্যাফিক আপডেট দেখে চলাফেরা করতে। সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই সমাবেশে বিশাল জনসমাগম হবে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবেই তা পরিচালিত হবে।