ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নজিরবিহীন ভাবে সিপিআইএমের বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হলেন আদিবাসী মহিলা দেবলীনা হেমব্রম (Debaleena Hembrom)। দেবলীনার লড়াকু মুখ কী চাঙ্গা করতে পারবে জঙ্গলমহলের দলীয় সংগঠন? নিজেদের পক্ষে কী আদিবাসী ভোট ব্যঙ্ক টানতে পারবে সিপিআইএম? আশায় বুক বাঁধছে বাম নেতৃত্ব।
নজিরবিহীন ভাবে প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসাবে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রম (Debaleena Hembrom)। বৃহস্পতিবার দলের জেলা সম্মেলন শেষে বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেন তিনি। জঙ্গলমহলের লড়াকু আদিবাসী নেত্রী দেবলীনা হেমব্রমের উপরে ভরসা করে জঙ্গলমহলে ঘুরে দাঁড়াবে সিপিআইএম। আশায় বাম নেতৃত্ব।

বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন দেবলীনা হেমব্রম (Debaleena Hembrom)
সিপিআইএমের (CPIM) ইতিহাসে জেলা সম্পাদক পদে আদিবাসী মহিলা নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। এই প্রথম বাঁকুড়া জেলায় সেই নজির গড়লেন দেবলীনা হেমব্রম। ১৯৯৬ সালে প্রথম রানীবাঁধ বিধানসভা থেকে সিপিআইএমের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন দেবলীনা হেমব্রম (Debaleena Hembrom)। ২০০১ সালে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করেননি। ২০০৬ সালে আবার রানীবাঁধ বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। ২০১১ সালে সারা রাজ্যে পরিবর্তনের ঝোড়ো হাওয়াতেও দেবলীনা হেমব্রম নিজের রানীবাঁধ বিধানসভায় জয়ী হন।
রাজ্যে পালাবদলের পর বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সিপিএম এর লড়াকু আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১১ সালে বিধানসভার অভ্যন্তরেই শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হন দেবলীনা হেমব্রম। পরবর্তীতে ব্রিগেডে দেবলীনা হেমব্রমের (Debaleena Hembrom) জ্বালাময়ী বক্তব্য তাঁকে রাজনৈতিক মহলে অন্যতম লড়াকু মুখ করে তোলে। দলের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি তাঁকে রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
সিপিআইএমের নিয়ম অনুযায়ী ৯ বছর ধরে দায়িত্ব সামলানোর পর গতকালই সেই পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হয় সিপিআইএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতিকে। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি বড়জোড়ায় আয়োজিত সিপিআইএমের (CPIM) ২৪ তম জেলা সম্মেলনে বাঁকুড়া জেলার সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন দেবলীনা হেমব্রম। আদিবাসী মহিলা হিসাবে নজিরবিহীনভাবে এই দায়িত্ব পাওয়াকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ দেবলীনা।
দেবলীনার দাবি তিনি ব্যক্তিগতভাবে কেউ নন। কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে এবং বঞ্চনা করছে তার বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষকে নিয়ে একত্রিত ভাবে দলগতভাবে লড়াই জারি থাকবে। দেবলীনা হেমব্রম (Debaleena Hembrom) জেলা সম্পাদক হওয়ায় জঙ্গলমহলে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন দলীয় নেতৃত্বও।