ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহাকাশে গবেষণার জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (Deep Sea Station)। এবার আর শুধু মহাকাশে নয়, সমুদ্রের অতল গভীরেও গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করছে চিন। ড্রাগেনের এই নতুন গবেষণা কেন্দ্র তৈরির খবর সমানে আসতেই হইচই পরে গেছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। তবে কিছু মহলের অবশ্য চিনের এই গবেষণা কেন্দ্র বানানোর পেছনে অন্য কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে বলে মনে করছেন।
কোথায় এই নতুন গবেষণা কেন্দ্র? (Deep Sea Station)
জানা গেছে, দক্ষিণ চিন সাগরের অতল গভীরে এই নতুন গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে চিন (Deep Sea Station)। এই গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে চিন সরকারের তরফে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যা দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি সামুদ্রিক গবেষণায় চিন ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বছরের পর বছর ধরে আলোচনা এবং প্রযুক্তিগত মূল্যায়নের পর দক্ষিণ চিন সাগরের নিকষ কালো গভীরে ওই বৈজ্ঞানিক গবেষণাকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের।
কত গভীরে কেন্দ্র? (Deep Sea Station)
একটি চিনা সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি, ওই গবেষণাকেন্দ্রটি কৌশলগত ভাবে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দু’হাজার মিটার বা প্রায় ছ’হাজার ফুট নীচে তৈরি করা হবে (Deep Sea Station)। সমুদ্রের গভীরের ওই গবেষণাকেন্দ্রের নকশা নাকি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Trump vs Zelenskyy: ট্রাম্প বনাম জেলেনস্কি! কেন বাড়ছে কথার যুদ্ধ?
কেমন হবে গবেষণা কেন্দ্রটি?
চিনের এই সমুদ্রের নিচে তৈরি করা গবেষণা কেন্দ্রটি কেমন হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি। বেশ কয়েকটি চিনা সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সমুদ্রের নিচে এই গবেষণা কেন্দ্রটি এমনভাবে বানানো হবে যাতে ছ’জন বিজ্ঞানী গবেষণার জন্য প্রায় এক মাস পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন এবং গবেষণা করতে পারবেন। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন গুলিতে আরও দাবি করা হচ্ছে, এই গবেষণা কেন্দ্রটি এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে সমুদ্রের গভীরে খারাপ থেকে অতি খারাপ পরিস্থিতিতেও ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।

আরও পড়ুন: Marriage Ritual: বিয়ের পর ৩ দিন শৌচালয় নিষিদ্ধ, না মানলেই ভাঙবে বিয়ে!
চতুর্স্তরীয় নজরদারি
সামুদ্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এই সামুদ্রিক চিনা গবেষণা কেন্দ্রে একাধিক স্তরে নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গেছে। এই গবেষণা কেন্দ্রে চতুর্স্তরীয় নজরদারি প্রক্রিয়ায় জাহাজ, ডুবো জাহাজ, মানমন্দির থাকবে বলেও চিনা সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য গবেষণাকেন্দ্রের মধ্যে উন্নত ফাইবার-অপ্টিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে বলেও মনে করা হচ্ছে। সমুদ্রের নীচে খোঁজ চালানোর জন্য সমুদ্রের নিচে থাকা চিনা গবেষণাকেন্দ্রে অত্যাধুনিক ড্রিলিং যন্ত্র থাকবে বলেও খবরে উঠে এসেছে। জানা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দক্ষিণ চিন সাগরের নীচে বেজিংয়ের ওই গবেষণাকেন্দ্রটি সম্পূর্ণ ভাবে চালু হয়ে যাবে।