ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিল্লির অপরাধ জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ জোয়া খান (Delhi Police Arrested Zoya Khan), যিনি পরিচিত দিল্লির ‘লেডি ডন’ হিসেবে, অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন। পুলিশ ২৭০ গ্রাম হেরোইনসহ তাঁকে গ্রেফতার করেছে, যার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য এক কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নাগালের বাইরে থাকলেও, পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের একাধিক অভিযানের পরে অবশেষে তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
কে এই জোয়া খান? (Delhi Police Arrested Zoya Khan)
জোয়া খান গ্যাংস্টার হাশিম বাবার (Delhi Police Arrested Zoya Khan) তৃতীয় স্ত্রী। হাশিমের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি এবং চোরাচালানসহ ১২টিরও বেশি মামলা রয়েছে এবং বর্তমানে তিনি জেলে বন্দী আছেন। হাশিমের জেলে যাওয়ার পর থেকেই জোয়া তাঁর মাদক সাম্রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করতে পুলিশ কোনো পোক্ত প্রমাণ পাচ্ছিল না। তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার সত্ত্বেও নিজেকে এক রহস্যময় অবস্থানে রাখতেন, যা পুলিশকে বিভ্রান্ত করে রেখেছিল।
ছিল উচ্চবিত্তদের সঙ্গে ওঠাবসা (Delhi Police Arrested Zoya Khan)
জোয়ার পরিচিতি অনেকটাই ভিন্ন। তিনি সমাজের উচ্চবিত্তদের সঙ্গে ওঠাবসা (Delhi Police Arrested Zoya Khan) করতেন, বিলাসবহুল পোশাক ও গয়নায় নিজেকে সাজিয়ে রাখতেন। এছাড়া তিনি সামাজিক মাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন এবং তাঁর অনেক অনুগামীও ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক সাম্রাজ্য চালানোর পাশাপাশি তিনি একটি প্রভাবশালী ভাবমূর্তি তৈরি করে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: MP Assault News: নির্যাতনের শিকার মূক ও বধির কন্যা, ধৃত যুবক সিরিয়াল রেপিস্ট!
জোয়ার পরিবারের সদস্যরাও যুক্ত অপরাধের সঙ্গে
জোয়ার জীবনের এক অন্ধকার দিকও রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ২০২৪ সালে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে জোয়ার মা গ্রেফতার হন, যদিও তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত। জোয়ার বাবা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত, যা তাঁর অপরাধমূলক জীবনের চিত্রকে আরও পরিষ্কার করে।
জোয়ার জীবন কাহিনী
এদিকে, জোয়া ও হাশিমের পরিচয়ের পিছনে একটি চাঞ্চল্যকর কাহিনী আছে। দু’জনই উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রতিবেশী ছিলেন এবং দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কারও এই অপরাধের জালে জড়িত ছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হাসিনার মাধ্যমে জোয়ার মাদক কারবারের দিকে প্রবেশ ঘটে।

অবশেষে গ্রেফতার জোয়া
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল দীর্ঘদিন ধরে জোয়া খানকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছিল, কিন্তু তাঁর ছলনাময়ী কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকেই জোয়ার আটক হওয়ার খবর আসে। পুলিশের এই সাফল্য অপরাধ দুনিয়ার জন্য একটি বড় সংকেত, যেখানে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা পৌঁছে যায়।
দিল্লি পুলিশের বড় সাফল্য
এবার দেখা যেতে পারে, পুলিশ কিভাবে জোয়ার গ্রেফতারের পর তাঁর গ্যাং এবং মাদক ব্যবসার অন্য সদস্যদেরও আটক করতে পারে। জোয়ার গ্রেফতার হওয়া এই ঘটনাটি একটি বড় সাফল্য, তবে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সমাজে অপরাধ ও মাদক চক্রের বৃদ্ধি রোধে সরকারের কড়া মনোভাব এবং কার্যকরী পদক্ষেপ অপরিহার্য।