ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঢাকার উত্তরা এলাকায় (Dhaka Plane Crash) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর বায়ুসেনার একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বাংলাদেশে। সোমবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন সময়ে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭, যার মধ্যে ২৫ জনই শিশু। বাকি দু’জন হলেন বিমানটির পাইলট ও স্কুলের এক শিক্ষিকা।
দেশবাসীর কাছে প্রার্থনার আবেদন (Dhaka Plane Crash)
মঙ্গলবার সকালে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে (Dhaka Plane Crash) এই তথ্য জানান জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মহম্মদ সায়েদুর রহমান। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭০ জন। এর মধ্যে ৭৮ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দগ্ধ শিশুদের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে প্রার্থনার আবেদন জানান।
ছুটির ঘণ্টা বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে…(Dhaka Plane Crash)
ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান সেনা, পুলিশ ও দমকল (Dhaka Plane Crash) বাহিনী। বহু ক্ষণ ধরে চলে উদ্ধারকাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, ভবনের ভিতরে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের অনেককে বাঁচানো যায়নি। স্কুলের যে ভবনে বিমানটি ভেঙে পড়ে, সেখানে ১৬টি শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষকদের জন্য চারটি ঘর ছিল। প্রাথমিক বিভাগের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলছিল সেসময়। ছুটির ঘণ্টা বাজার কয়েক মুহূর্ত আগেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন
বিমানটি ছিল এফটি-৭ বিজিআই মডেলের, যা মূলত প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করে বাংলাদেশ বায়ুসেনা। চিনের চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন এই বিমানটি তৈরি করে। ‘গ্লোবাল সিকিউরিটি ডট কম’ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি একক ইঞ্জিন যুক্ত এবং দু’জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ার মাত্র ১২ মিনিট পরেই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় বিমানটি। পাইলট শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেন খোলা জায়গায় অবতরণের, কিন্তু ব্যর্থ হন।
আগুনে মারাত্মকভাবে দগ্ধ
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিমানটি গিয়ে পড়ে স্কুলভবনের উপর। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অনেক ছাত্রছাত্রী ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যায়, কেউ আবার আগুনে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে ফের ঘনিয়ে আসছে দুর্যোগ, বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল সংখ্যক অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অভিভাবকদের ভিড়ে স্কুলের সামনে তখন আতঙ্ক ও কান্নার সুর। অনেক শিশুর দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে চেনা যাচ্ছে না তাদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার পথ বেছে নিয়েছে প্রশাসন।