ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সকালে মোবাইলের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে অ্যালার্ম সেট করা পর্যন্ত, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মোবাইল আমাদের সর্বক্ষনের সঙ্গী। অফিসের কাজ হোক কিংবা অবসরে সিনেমা দেখা, পড়াশোনা হোক বা রাস্তা চেনা, খাবারের অর্ডার কিংবা অনলাইন পেমেন্ট — প্রতিদিনের জীবনযাপনে মোবাইল এখন অপরিহার্য৷ আর এই মোবাইল নির্ভরতার বেশিরভাগটাই ইন্টারনেট কেন্দ্রিক (Digital Detox) ৷ মোবাইল নির্ভরতার হাত ধরে ইন্টারনেটের দুনিয়া নেশা ধরাচ্ছে, বাড়িয়ে তুলছে ডিজিটাল আসক্তি৷ বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ ডিজিটাল আসক্তি বা ইন্টারনেট আসক্তিতে ভুগছেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কি ভাবে এই ডিজিটাল আসক্তি কাটানো সম্ভব ? কিভাবেই বা বুঝবেন আপনি ডিজিটাল আসক্তিতে ভুগছেন কিনা ?
কিভাবে বুঝবেন ডিজিটাল আসক্তিতে ভুগছেন ? (Digital Detox)
-সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন ঘেঁটে মন খারাপে ভোগেন
-ফোন নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে
-ফোন থেকে একটুও দূরে থাকতে পারেন না
-ফোন কয়েক মিনিট খুঁজে না পেলে অস্থির হয়ে পড়েন
-ফোন দিয়ে দিন শুরু, ফোন দিয়ে দিন শেষ যাদের
-ফোনের কারণে বাড়ির সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না যাদের
ডিজিটাল আসক্তি কাটাতে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ (Digital Detox)
এই নেশার কবলে পড়ার ক্ষেত্রে বয়স একেবারেই বাধা নয়। বাড়ির খুদে থেকে প্রৌঢ় সদস্য মোবাইলের নেশায় বুঁদ সকলেই। পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই আবার কাজের প্রতিও মনোযোগ কমছে। শরীর ও মনের চাই ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ (Digital Detox)। জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে।
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কি?
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ (Digital Detox) মানে জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবনযাপন। ডিজিটাল ডিটক্স (Digital Detox) হল সেই প্রক্রিয়া যখন মানুষ কিছু সময়ের জন্য মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কমপিউটারের স্ক্রিন বা ইন্টারনেট-সহ প্রায় সব রকম ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকে। সারাদিন আমাদের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটা ক্লান্তি আসে। ডিজিটাল ডিটক্স মানে সেই ক্লান্তি থেকে বিরতি। ডিজিটাল ডিটক্স মানে ফোন বন্ধ করে রাখা নয়। বরং নিজের উপর কিছুক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনা।
ডিজিটাল ডিটক্স কীভাবে করবেন ?
১)ডিজিটাল ডিটক্স করতে হলে প্রথমেই একটি রুটিন বানাতে হবে। কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। দিনে কতক্ষণ এই যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন তা ঠিক করে নিন। এর জন্য টাইম ট্র্যাকারেরও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে ।
২)চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার।ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন।
৩)দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলি ফোনে না রাখাই ভাল। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়র্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন।
৪)বাস্তব জগতটার কাছে আসতে হবে। অবসর সময়ে বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের শখগুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।