ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের করাচিতে সম্প্রতি নারীদের প্রতি সহিংসতার (Domestic Violence) এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এক নারী, যিনি তার স্বামীকে অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছিলেন তাকে নির্যাতনের পর পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ওই নারীর ৪০ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। ঘটনার পর স্বামী পালিয়ে যান, তবে দুই দিন পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতনের শিকার (Domestic Violence)
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আহত নারী দীর্ঘদিন ধরেই তার স্বামীর নির্যাতনের (Domestic Violence) শিকার ছিলেন। বর্তমানে তিনি করাচির সিভিল হাসপাতালে বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ গ্রেফতার হওয়া স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
পুড়িয়ে মারা হয়েছে (Domestic Violence)
প্রগতিশীল নারীদের সংগঠন (PWA) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ (Domestic Violence) করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ নারী তাদের স্বামী বা স্বামীর পরিবারের হাতে পুড়িয়ে মারা হয় এবং এই সহিংসতার হার বাড়ছে।
বৈঠকের আয়োজন (Domestic Violence)
এদিকে, পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (HRCP) মঙ্গলবার একটি বৈঠক আয়োজন (Domestic Violence) করে, যেখানে নারীদের এবং লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের জন্য ন্যায় বিচার নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিশন তাদের বক্তব্যে নারীদের সুরক্ষার জন্য আইনগত অবস্থার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং ধর্ষণ, অপহরণ, গার্হস্থ্য সহিংসতা, এবং অশ্লীল প্রথা সম্পর্কিত মামলার কম দণ্ড দেওয়ার হার নিয়ে আলোচনা করে।
কমিশনের প্রতিবেদন
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, কিন্তু এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দণ্ডের হার আশঙ্কাজনকভাবে কম। রিপোর্টে দেখা যায়, পাকিস্তানে ২০২৪ সালে মোট ৩২,৬১৭টি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫,৩৩৯টি ধর্ষণের ঘটনা, ২৪,৪৩৯টি অপহরণ ও গার্হস্থ্য সহিংসতার ২,২৩৮টি ঘটনা, এবং ৫৪৭টি সম্মান হানির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
দণ্ড দেওয়ার হার
অবশ্য, এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলোর মধ্যে, ধর্ষণ এবং সম্মান হত্যার জন্য জাতীয় স্তরে দণ্ড দেওয়ার হার মাত্র ০.৫ শতাংশ। অপহরণ ও গার্হস্থ্য সহিংসতা মামলাগুলির ক্ষেত্রে দণ্ড দেওয়ার হার আরও কম, যথাক্রমে ০.১ শতাংশ এবং ১.৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: 70 Rejections For PhD Scholar: ৭০ সংস্থায় রিজেক্টেড কেম্ব্রিজ থেকে পিএইচডি স্কলার, তারপর?
এই ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। নারীদের নিরাপত্তা এবং তাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা পাকিস্তানের সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। সরকারের উচিত অবিলম্বে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংস্কার করা, যাতে নারীরা সুরক্ষা এবং বিচার পেতে সক্ষম হন।