ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে, আমেরিকার (Donald Trump New Step) বিচার বিভাগ বড় ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন এই পদক্ষেপ? (Donald Trump New Step)
এই পদক্ষেপ, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে (Donald Trump New Step) তাঁদের বিশ্বস্ততা নিয়ে সংশয় প্রকাশের পর নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন স্পেশ্যাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত চলছে—একটি সরকারি গোপন নথি সরানোর অভিযোগ এবং অন্যটি ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার চেষ্টা।
পাঠানো হয়েছে চিঠি (Donald Trump New Step)
সোমবার, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল (Donald Trump New Step) জেমস ম্যাকহেনরি বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, “আমাদের মনে হয় না, আমেরিকার বিচার বিভাগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশ্যকে বিশ্বস্তভাবে বাস্তবায়িত করার প্রশ্নে আপনাদের উপর আর আস্থা রাখতে পারে।” এই বার্তা বিশেষভাবে তাদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে যারা জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: Chinese AI: চিনা এআই-র সাফল্য, বিরাট ধাক্কা আমেরিকার, ক্ষতি ৫০ লক্ষ কোটি
স্মিথকে ট্রাম্পের হুমকি! (Donald Trump New Step)
২০২২ সালে, স্পেশ্যাল কাউন্সেল (Donald Trump New Step) হিসেবে জ্যাক স্মিথকে নিয়োগ করা হয় এবং তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পান। এর মধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সরকারি গোপন নথি সরিয়েছেন এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন। যদিও ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে স্মিথকে দুই সেকেন্ডের মধ্যে সরিয়ে দেবেন, কিন্তু স্মিথ সেই সময়ের আগেই পদ ছাড়েন।
বিচার ব্যবস্থায় গভীর প্রভাব!
গত নভেম্বরে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, এই তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে, বিচার বিভাগ সম্প্রতি এই তদন্তের সাথে জড়িত একাধিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে, যার ফলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে সন্দেহ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত চলতে থাকা সত্ত্বেও, এমন পদক্ষেপ আমেরিকান রাজনীতি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচারের গুরুত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনঃনির্মাণের চেষ্টা চলছে, এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।