ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকা (Donald Trump) থেকে তাড়াতে আপাতত সামরিক বিমান ব্যবহার বন্ধ করে দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। অতিরিক্ত খরচের কারণেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অবৈধ অভিভাসীদের তাড়াতে সামরিক বিমানের উপর নির্ভর করা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই খুব ঝামেলার বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশাসন এখনও অবৈধ অভিভাসীদের বিতাড়নের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বিতাড়ন (Donald Trump)
দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বিতাড়নে উদ্যোগী হন ট্রাম্প (Donald Trump)। হাতে হাতকড়া, পায়ে শিকল। হাজার হাজার ‘অনুপ্রবেশকারী’কে এভাবেই আমেরিকা থেকে ‘তাড়িয়েছিল’ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সেই নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে আচমকাই মার্কিন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিল, সামরিক বিমানে চাপিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানোর প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখা হবে। সে বিষয়ে যদিও তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। কিন্তু অনুমান করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আসবে তথ্য।
বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে (Donald Trump)
মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামরিক বিমানে চাপিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরানোর জন্য বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে আমেরিকার (Donald Trump)। এমনকি ফার্স্ট ক্লাস বিমানের থেকেও বেশি খরচ হচ্ছে সামরিক বিমানে। অভিবাসীদের ফেরানোর পুরো খরচই মেটানো হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের করের টাকা থেকে।
আরও পড়ুন: Volodymyr Zelenskyy: শান্তির জন্য ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত জেলেনস্কি
ঘন্টায় ২৮.৫০০ মার্কিন ডলার খরচ
সরকারি তথ্য অনুসারে, অভিভাসীদের বিতাড়নের জন্য ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের প্রতিটিতে ৮.৫০০ ডলার করে প্রতি ঘন্টায় খরচ হয় আমেরিকার শুল্ক এবং অভিবাসন দফতরের (আইসিই)। সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিকের মতে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের প্রকৃত খরচ প্রতি ঘন্টায় ১৭০০০ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। ভারী পণ্যসম্ভার এবং সৈন্য পরিবহনের জন্য তৈরি একটি সি-১৭ বিমান পরিচালনা করতে প্রতি ঘন্টায় ২৮.৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হয়।
ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার লক্ষ
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সামরিক বিমানে চাপিয়ে এক এক জন অবৈধবাসীকে আমেরিকা থেকে গুয়াতেমালায় পাঠানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে গুনতে হয়েছে ৪,৬৭৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার লক্ষ টাকা। যেখানে বাণিজ্যিক বিমানে আমেরিকা থেকে গুয়াতেমালায় ওই একই পথে এক এক জন অবৈধবাসীকে পাঠাতে খরচ পড়ত ৮৫৩ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৪ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: Tariff War US: ট্রাম্পের বড় সিদ্ধান্ত! কানাডা, মেক্সিকোর উপরে শুল্ক এখনই চাপানো হবে না!
খরচ সাপেক্ষ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত
গত ১ মার্চ অবৈধবাসীদের নিয়ে একটি সামরিক বিমান রওনা দিয়েছিল আমেরিকা থেকে। তার পর থেকে পেন্টাগনের আর কোনও বিমান অবৈধবাসীদের ফেরত পাঠানোর কাজে ব্যবহার হয়নি। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আপাতত কোনও সামরিক বিমানের পূর্বনির্ধারিত সূচিও নেই। আধিকারিক সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, সামরিক বিমানে অবৈধবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া খরচ সাপেক্ষ হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।