ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ রাত ৮টায় পেশোয়ার জালমি এবং করাচি কিংসের মধ্যে একটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল (Drone Hits Rawalpindi Stadium), কিন্তু ড্রোন হামলায় রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ড্রোন হামলার ঘটনার বিবরণ (Drone Hits Rawalpindi Stadium)
আজ, ৮ মে, বৃহস্পতিবার, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে (Drone Hits Rawalpindi Stadium)। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের মধ্যে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ড্রোনটি স্টেডিয়ামের কাছাকাছি এলাকায় আঘাত হানে, যার ফলে স্টেডিয়ামের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিরাপত্তার কারণে ম্যাচটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনা (Drone Hits Rawalpindi Stadium)
এই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে এমন এক সময়ে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা চলছে (Drone Hits Rawalpindi Stadium)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক একটি অভিযানে ভারত পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে। এই সিস্টেমটি চীনের তৈরি এবং পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ ছিল।
পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তারা লাহোর, গুজরানওয়ালা, চাকওয়াল, বাহাওয়ালপুর, মিয়ানো, করাচি, চোর, রাওয়ালপিন্ডি এবং আটকসহ বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। তবে, ভারতীয় সূত্রে জানা যায়, এই ড্রোনগুলি ইজরায়েলি তৈরি HAROP ড্রোন ছিল, যা পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে অকার্যকর করে তোলে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, লাহোরে চারজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন এবং সিন্ধুর মিয়ানোতে একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর পাকিস্তান সরকার ভারতের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: Tribute to Indian Army: অপারেশন সিঁদুরে গর্বিত ইডেন, কেকেআর-সিএসকে ম্যাচে সেনাকে বিশেষ সম্মান
পিএসএল ম্যাচ বাতিল
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলার ফলে পিএসএল ম্যাচ বাতিল হওয়া এবং ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই ধরনের ঘটনাগুলি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ করতে পারে।