ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। পড়শী দেশের অরাজক পরিস্থিতির জেরে বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ ভিসা পরিষেবা। সীমান্তে কমেছে পর্যটকদের সংখ্যাও। ওপারে অশান্তির জেরে আমদানি রফতানি ব্যবসাও যেন প্রায় বন্ধের মুখে। এমনই চিত্র দেখা গেল, বসিরহাট মহাকুমার ভারত-বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে।
সেখানে বন্ধের মুখে আমদানি রফতানি। দু থেকে তিন মাস আগে যাদের ভিসা করা সেইসব পর্যটকরাই যাতায়াত করছেন। তাও সংখ্যাটা খুব কম। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত বাণিজ্যেও পড়েছে প্রভাব। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০০ পন্যবাহী ট্রাক যেত। বর্তমানে সেই সংখ্যা ১০০-রও কম। প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। আগে বাংলাদেশের ১০০ টাকা প্রতি বাটা ছিল ৭২-৭৫ টাকা। বর্তমান নেমেছে ৬৯ টাকায়। সীমান্তের আমদানি রফতানি সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব মন্ডল বলেন, ”আমরা যেসব পণ্যবাহী জিনিসপত্র রফতানি করছি সেগুলো পেমেন্ট অনেক দেরিতে আসছে। ডলার দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে। যার কারণে আগের থেকে সীমান্ত বাণিজ্যে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে।”
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/top-place-of-destination-wedding/
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে খবর, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৫৪ জন সংখ্যালঘুকে বেনাপোল সীমান্ত পার করার অনুমতি দেয়নি সে দেশের অভিবাসন পুলিশ। ও পার বাংলার সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাঁরা ইসকনের ভক্ত। বেনাপোলে অভিবাসন চেকপোস্টের ওসি ইমতিয়াজ মহম্মদ আহসানুল কাদের ভূইঞা জানিয়েছেন, ভারতে তাঁদের ভ্রমণ সন্দেহজনক মনে করেই ৫৪ জন বাংলাদেশি যাত্রীকে সীমান্ত পার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/west-bengal-winter-weather-update/
এদিকে শনিবার রাতে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় বাংলাদেশের এক মহিলা সাংবাদিককে কিছু মানুষ ঘিরে ধরেছিলেন বলে অভিযোগ। পরে তেজগাঁও থানার পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। বাংলাদেশের দৈনিক ‘প্রথম আলো’কে ঢাকা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, ওই মহিলা সাংবাদিককে আটক করা হয়নি। নিরাপত্তার জন্য তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই সাংবাদিকের নামে চারটি মামলা রয়েছে। সেগুলিতে জামিনের শর্তে তাঁকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।