ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পরপর ভূমিকম্পে (Earthquake Alert) কেঁপে উঠছে বিভিন্ন অঞ্চল। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরে শনিবার গভীর রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৪.৬ রিখটার স্কেল। রাত ২টা ৫০ মিনিটে সুমাত্রার মাটির নীচে ৫৮ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পন শুরু হয়। আতঙ্কিত মানুষজন রাতেই বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি (Earthquake Alert)
রবিবার সকালে ভারতের অরুণাচলপ্রদেশেও ভূমিকম্প (Earthquake Alert) অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.৮, এবং কম্পনটি ভোর ৫টা ৬ মিনিটে ডিবাং ভ্যালির ১০ কিলোমিটার গভীরে অনুভূত হয়। যদিও এই ভূমিকম্পের কারণে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি, তবুও এটি সেখানকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত শনিবারও ডিবাং ভ্যালি এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছিল, যার তীব্রতা ছিল ৩.৪।
একের পর এক ভূমিকম্পের ঘটনা (Earthquake Alert)
বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের ঘটনা একের পর (Earthquake Alert) এক ঘটছে। মায়ানমার, আফগানিস্তান এবং চিনেও গত কয়েকদিনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মায়ানমারে ৫.৪ তীব্রতায় কম্পন হয়েছিল, আফগানিস্তানে ও চিনেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। ১২ মে পাকিস্তানেও ভূমিকম্প হয়েছিল, যার তীব্রতা ছিল ৪.৬। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এসব পরপর ভূমিকম্প বিশ্বে কোনো অশনি সংকেত সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: Petrol Filling Tips: সকালে পেট্রোল ভরলেই কি সত্যিই লাভ? জেনে নিন আসল সত্যি!
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার ভূমিকম্প হয়, যা গড় হিসেবে প্রতিদিন প্রায় ৫৫টি কম্পনের সমান। তবে, গত ২০১০ সালে ২৩টি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের ঘটনা নিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এবং এটি আরও বেশি নজর দেওয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।