ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর চারটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল (Earthquake in Asian)। এই পরপর ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, তিব্বত সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের তলদেশেও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, যা সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
চিনের তিব্বতে ভূমিকম্প (Earthquake in Asian)
বুধবার ভোরে প্রথম ভূমিকম্পটি হয় চিনের তিব্বতে(Earthquake in Asian)। ভারতীয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (NCS) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২ এবং উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২৬ কিমি গভীরে। যেহেতু গভীরতা বেশি এবং মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, তাই বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
হিন্দুকুশ পর্বতমালায় ভূমিকম্প (Earthquake in Asian)
তবে মাত্র ৫০ মিনিট পর, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ঘটে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় (Earthquake in Asian)। এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯ এবং উৎস ছিল ৭৫ কিমি গভীরে। এর প্রভাব ভারতের রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়ও অনুভূত হয়। অনেকেই কম্পন বুঝতে পেরে ভোরবেলা রাস্তায় নেমে আসেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।

আরও পড়ুন: US Military AirBase : ভারত মহাসাগর কাঁপাচ্ছে মার্কিন বোমারু জেট! ড্রাগেনের আগ্রাসন রুখতে পদক্ষেপ?
বাংলাদেশে ভূমিকম্প (Earthquake in Asian)
এরপর তৃতীয় ভূমিকম্পটি ঘটে বাংলাদেশে। ভোর ৫টা ৭ মিনিটে অনুভূত হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ২.৯ এবং গভীরতা ছিল ১৪ কিমি। এটি ছিল অপেক্ষাকৃত মৃদু কম্পন। কিছুক্ষণের মধ্যেই, ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার অঞ্চলে আরও একটি ভূমিকম্প হয়। এর মাত্রা ছিল ২.৪ এবং উৎসস্থল ছিল মাত্র ৫ কিমি গভীরে।

ভারত মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প (Earthquake in Asian)
এই পরপর কম্পনের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি হয় ভারত মহাসাগরের তলদেশে (Earthquake in Asian)। সকাল ৭টা ১২ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২,০৬৯ কিমি দূরে সমুদ্রের তলদেশে এই কম্পন অনুভূত হয়।আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুসারে, এর মাত্রা ছিল ৬.৬ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিমি। যদিও এই ভূমিকম্পের কারণে কোনও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে সতর্ক রয়েছেন।

পরপর ভূমিকম্পের কারণ কী? (Earthquake in Asian)
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত অল্প সময়ের ব্যবধানে এই ধরনের পরপর ভূমিকম্প দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার টেকটোনিক প্লেটগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপের ইঙ্গিত দেয় (Earthquake in Asian)। ভারতীয় উপমহাদেশ ও হিমালয় অঞ্চল এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ (EMSC)। পরিকাঠামোগত দিক থেকে এই অঞ্চলগুলিকে আরও ভূমিকম্প-প্রতিরোধী করে তুলতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।সৌভাগ্যক্রমে, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার পরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় নেমে আসেন এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিকম্প সংক্রান্ত সচেতনতা, প্রস্তুতি এবং সতর্কতা আরও বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে, বড় ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাবে।