ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এএনআই-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন (RBI Rate Cuts) যে বর্তমান বিশ্ব এবং দেশীয় পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য সুদের হার কমানোর একটি ভালো সুযোগ উপস্থাপন করেছে।
সামনে আরবিআই-এর নীতিনির্ধারণী বৈঠক (RBI Rate Cuts)
বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারের টানা পতনের মধ্যে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর আসন্ন মুদ্রানীতির বৈঠকে জোরদার পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা (RBI Rate Cuts)। ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পরিস্থিতি সুদের হার কমানোর জন্য যথেষ্ট অনুকূল।
‘এপ্রিলেই ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানো উচিত’ – দেবোপম চৌধুরী (RBI Rate Cuts)
পিরামল গ্রুপের চিফ ইকনমিস্ট দেবোপম চৌধুরী মনে করছেন, RBI-এর উচিত এবার আগেভাগে সুদের হার কমানো (RBI Rate Cuts)। তিনি বলেন, “RBI-এর উচিত এপ্রিলে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানো। এটা হবে আগাম এক সদর্থক পদক্ষেপ। কারণ দেশে মুদ্রাস্ফীতি এখন নিয়ন্ত্রণে, আন্তর্জাতিক বাজারে বন্ড ইয়িল্ড কমছে, এবং ডলার-রুপি রেট কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। এই সমস্ত ট্রেন্ড একসঙ্গে মিলিয়ে সুদের হার কাটার জন্য এটাই সঠিক সময়।”
চৌধুরীর মতে, এখন যেহেতু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং টাকা কিছুটা শক্তি ফিরে পেয়েছে, RBI চাইলে এই বৈঠকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে।
‘২৫ বেসিস পয়েন্টই যথেষ্ট’, মত ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অর্থনীতিবিদের (RBI Rate Cuts)
তবে সকল বিশেষজ্ঞের মত এক নয় (RBI Rate Cuts)। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ইকনমিক্স স্পেশালিস্ট সোনাল বাদহন জানিয়েছেন, RBI হয়তো ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাতে পারে। তবে তিনিও মনে করছেন, RBI এবার স্পষ্টভাবে বৃদ্ধিবান্ধব অবস্থানে যাবে। তিনি বলেন, “আমরা ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেট কাটের সম্ভাবনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ RBI এখনই খুব বড় সিদ্ধান্ত নেবে না, বর্ষার পরিস্থিতি পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা সতর্ক থাকবে। তবে তারা ‘অ্যাকমোডেটিভ স্ট্যান্স’-এ চলে যাবে, যার মানে হল এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী একাধিকবার রেট কাট করা যেতে পারে।”
আরও পড়ুন: Acid Attack: বিজেপি নেতার মেয়ের মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে পলাতক দুষ্কৃতী!
বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির চাপে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি
এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক ঘোষণার জেরে চাপ আরও বেড়েছে। এই সংরক্ষণবাদী পদক্ষেপগুলির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যার জেরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর পক্ষে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৃদ্ধির সহায়তা, দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: গ্রাম প্রতি দেওয়া হবে ১ কোটি টাকা, ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
চোখ এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দিকে
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া, দুই দিক থেকেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই অবস্থায় সবাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে। আগামী সোমবার, মুম্বইয়ে শুরু হচ্ছে RBI-এর মুদ্রানীতির বৈঠক। ৯ এপ্রিল ঘোষণা হবে নতুন নীতিগত সুদের হার। সেই সিদ্ধান্তই আগামী কয়েক মাসের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অবস্থান এবং দেশের আর্থিক দিশা নির্ধারণ করবে।