ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার ভোপালে (Bhopal Incident) একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এবং তাঁর মেয়ের মৃতদেহ তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মিলেছে এই চার পাতার সুইসাইড নোট। ডাক্তার হরিকিষণ শর্মা চার পাতার দীর্ঘ সুইসাইড নোটে লিখেছেন তিনি চার বছর আগে তাঁর স্ত্রীকে হারানোর শোক সামলে উঠতে পারেননি। তাঁর মেয়েও ছিলেন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার। তিনিও তাঁর মাকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে না পেরে মানসিক অবসাদের শিকার হন বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক এই কারনেই আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা বলে জানা যাচ্ছে।
চার পাতার দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার (Bhopal Incident)
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসক এবং তাঁর কন্যার নাম হরিকৃষ্ণ এবং চিত্রা শর্মা। তদন্তকারী আধিকারিক অবধেশ সিংহ তোমর জানিয়েছেন, হরিকৃষ্ণের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে (Bhopal Incident)। কিন্তু কী ভাবে চিত্রার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘর থেকে একটি চার পাতার দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেই চিঠির মূল বক্তব্য, মৃত্যুর পর তাঁরা দেহ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
দু’জনের দেহ ভোপাল এমস-এ দান (Bhopal Incident)
সুইসাইড নোটে প্রবীণ ডাক্তারের আর্জি, তাঁদের দু’জনের দেহ ভোপাল (Bhopal Incident) এমস-এ দান করে দেওয়া হোক। যাতে সেগুলি কাজে লাগে পড়ুয়াদের। জীবনের শেষ চিঠিতে ডাক্তার হরিকিষেণ লিখেছেন স্ত্রীর মৃত্যু তাঁকে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। মানসিক অবসাদের শিকার মেয়ের দেখভাল করতেও তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে আগেই। তাঁর নিজের মৃত্যুর পর মেয়ের কী হবে, সেই চিন্তাতেও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। কন্যার চিত্রার পরিস্থিতিও দিন দিন খারাপ হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: Badrinath Snowslide: বদ্রীনাথে তুষারধসে উদ্ধার ৩২ জন, আটকে এখনও ২৫
ডিসপেন্সারির দরজা খোলেনি কেউ
কোভিড মহামারির সময় ডাক্তার হরিকিষণ এবং তাঁর মেয়ে নিরলসভাবে রোগীদের চিকিৎসা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা৷ হরিকিষেণের বাড়িতেই চিকিৎসা করতেন তিনি। রবিবার ডিসপেন্সারির দরজা খোলেনি কেউ৷ অপেক্ষমাণ এক রোগী শেষে প্রতিবেশীদের জানান৷ তার পর জানালায় উঁকি দিলে ডাক্তার হরিকিষেণের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়৷ এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।
আত্মহত্যা না কি নেপথ্যে অন্য কারণ
পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিঠির লেখা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আত্মহত্যা না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন পুলিশ। রিপোর্ট এলে মত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে। ৮২ বছরের চিকিৎসক হরিকৃষ্ণ এবং ৩৬ বছর বয়সী কন্যা চিত্রা শর্মার আত্ম্যহত্যাকে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।