ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। তারপরে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে আরও অনেকে জেলে গেলেও সম্প্রতি একে একে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন অনেক হাইপ্রোফাইল নেতা মন্ত্রীরা। কিন্তু তার জামিন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি আর কেউ নন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারপর নদী দিয়ে বইয়ে গিয়েছে অনেক জল। বারবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে আদালতে।
ইডির মামলায় জামিন পেতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। একাধিক হেভিওয়েট নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিবাল, মণীশ শিশোদিয়া-সহ একাধিক নেতা মন্ত্রী জামিন পেয়েছেন।
প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একটা বিষয় আইনজীবীরা জোর দিয়ে সওয়াল করেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া অত্যন্ত দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তদন্ত কবে শেষ হবে, সেটা স্পষ্ট নয়। ফলে অন্ততকাল অভিযুক্তরা জেলে থাকতে পারেন না। হাইকোর্ট, সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টিকে মান্যতা দিচ্ছে। আর এই যুক্তিতেই হেভিওয়েটদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞার বেঞ্চ সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করেছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/mithun-chakraborty-to-be-honored-dadashaeb-phalke-award/
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার নাকতলার বাড়ি এবং বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ঠিকানায় যৌথ অভিযান চালায় ইডি। পার্থ ও অর্পিতার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা নগদ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এরপরই SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। আর সেই থেকেই কলকাতার প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগারে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও ওই একই জেলে রয়েছেন বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও।