ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল যাচ্ছেন চিন সফরে।চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে এই বিশেষ বৈঠক রয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের।আগামীকাল ১৭ই ডিসেম্বর ভারতের এনএসএ অজিত ডোভাল চিন সফরে রওনা দেবেন চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য।
চিন সীমান্তে কমছে উত্তেজনা
গত অক্টোবর মাসের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করে। ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে বেশ বড়ো ভূমিকায় ছিল রাশিয়া।‘ব্রিকস’ সামিটের পর রাশিয়ার উদ্যোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ভারত ও চিন দুই দেশই ‘লাইন অব অ্যাকচ্যুয়াল কন্ট্রোল’-এর থেকে সেনাদের ধীরে ধীরে সরিয়ে নেবে।গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার প্রায় চার বছর পর সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে আবারও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল।
গালওয়ানের পর প্রথম বৈঠক
২০২০সালে গালওয়াল উপত্যকার সংঘর্ষের চার বছর পর এটাই প্রথম ‘স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ’ পর্যায়ের আলোচনা।এর আগে ২০১৯ সালে চিনের সাথে এই ধরনের বৈঠক হয়েছিল।এই ধরনের বৈঠকের মুল কেন্দ্র থাকে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা ও জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার মতো বিষয়।
সীমান্তে পেট্রোলিং চুক্তি
‘এনএসএ’-অজিত ডোভালের আসন্ন চিন সফরে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমঝোতা বিষয়ক চুক্তির নিয়েও আলোচনা হতে পারে।ভারত ও চিনের মধ্যের এই সমঝোতা হয়েছিল প্রায় দু-মাস আগে এবছর অক্টোবর মাসের রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সামিটে।যে বৈঠকের পর চিনের তরফে মেনে নেওয়া হয় সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব।তারপরেই চিনের তরফে সেই প্রস্তাব মতোই এলএসি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
চিন ও ভারতের মধ্যে অচলাবস্থা
ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল পূর্ব লাদাখে 2020 সালে চিনের কৌশলগত সামরিক মহড়ার কারণে।এই সংঘর্ষের ফলে দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা দেখা দেয় যা ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
অজিত ডোভালের শেষ বৈঠক
এর আগে এমনই বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের বৈঠক হয়েছিল 2019 সালের ডিসেম্বরে। ভারতের চিনের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধির আগে হওয়া সেই বৈঠকে অজিত ডোভাল ভারতীয় পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ওয়াং ই চিনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এই বৈঠকে সম্ভব্য আলোচনা
ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী রেজোলিউশন অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যের সাথে LAC-কে আরও স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত এবং বর্ণনা করার লক্ষ্যে এই বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।এর মাধ্যমে বর্তমান পেট্রোলিং স্থল এবং বাফার জোনের এলাকা গুলিতে আরো ফোকাস করা হবে যাতে দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এড়িয়ে চলা যায়।