Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে চলন্ত বাসে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশু-সহ পাঁচ জনের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে (Lucknow Bus Fire)। গুরুতর আহত হয়েছে বেশ কয়েক জন। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় যাত্রীরা ঘুমোচ্ছিলেন। পথচারীরাই প্রথমে আগুন লাগার বিষয়টি দেখতে পেয়ে চালককে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ওই অবস্থাতেই চালক বাসটিকে এক কিলোমিটার নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত (Lucknow Bus Fire)
জানা গিয়েছে, বিহারের বেগুসরাই থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল দূরপাল্লার ওই বাসটি (Lucknow Bus Fire)। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ বাসটি যখন মোহনলালগঞ্জ পৌঁছয় তখনই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ডবল ডেকার স্লিপার বাসটি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। আতঙ্কে প্রাণ হাতে বাসের জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেন যাত্রীরা। কিন্তু বাসের মধ্যে আটকে পড়েন কিছুজন। তাঁদেরই মৃত্যু হয়। মৃতের তালিকায় রয়েছে দুই শিশু।জানা গেছে, বাসটিতে প্রায় ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। ভোরের দিকে ঘুমিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া (Lucknow Bus Fire)
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে ওই বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর পলাতক (Lucknow Bus Fire)। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। লখনউ দক্ষিণের ডেপুটি পুলিশ সুপার নিপুণ আগরওয়াল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ মোহনলালগঞ্জ থানায় খবর আসে একটি স্লিপার বাসে আগুন লেগেছে। বাসটি বিহারের বেগুসরাই থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। এই ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
আগুনের গ্রাসে দিল্লি কলেজ (Lucknow Bus Fire)
দিল্লির শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং কলেজ অফ কমার্সে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ৫৫ নাগাদ হঠাৎ কলেজে আগুনের লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে যায় কলেজের এক, দুই এবং তিন তলা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: President Letter to SC: সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রাষ্ট্রপতির
আগুনে ক্ষয়ক্ষতি (Lucknow Bus Fire)
জানা গেছে, প্রথমে রাজধানীর শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং কলেজ অফ কমার্সে লাইব্রেরিতে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন কলেজের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন। পৌঁছয় পুলিশও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা। পাশাপাশি কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীদের উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় কেউ আহত হননি। তবে অগ্নিকাণ্ডের জেরে কলেজের একাধিক জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী ভাবে হঠাৎ কলেজের লাইব্রেরিতে আগুন লাগল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগে থাকতে পারে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
