ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহরমপুর সফরের ঠিক আগের রাতে শহর কেঁপে উঠলো এলোপাথাড়ি গুলির আওয়াজে (Firing in Berhampore)। রবিবার রাতে বহরমপুর শহরের মধুপুর এলাকায় ঘটে গেল এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। এই ঘটনার পেছনে কি শাসক দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? অনুমান স্থানীয়দের।
ক্লাব চত্বরে শূন্যে ছয়-সাত রাউন্ড গুলি! (Firing in Berhampore)
সোমবার রাতের দিকে মধুপুরের একটি ক্লাব প্রাঙ্গণে আচমকাই চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে ঘিরে সেখানে হঠাৎ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী শূন্যে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলির শব্দে এলাকা থমথমে হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: IIT Kharagpur : ৪ মাসে ৩ পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু! ফের আইআইটি খড়গপুরের হস্টেলে ছাত্রের দেহ উদ্ধার
মারধর, রক্তাক্ত দুই (Firing in Berhampore)
গুলিচালনার ঘটনার পরে, অপর পক্ষের দুই জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মী মিঠু জৈন ও আরও একজন (Firing in Berhampore)। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আহতদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত, থানায় লিখিত অভিযোগ (Firing in Berhampore)
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বই এই সংঘর্ষের মূল কারণ। আক্রান্তদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বহরমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা করেই হামলা চালিয়েছে অপর গোষ্ঠীর লোকজন।
অভিযুক্তরা পলাতক (Firing in Berhampore)
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন (Firing in Berhampore)
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে বহরমপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, শহরে যখন মুখ্যমন্ত্রী আসার প্রস্তুতি চলছে, তখনই শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলির ঘটনা প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই তুলে ধরছে।

শহরে আতঙ্ক ও উত্তেজনা, প্রশাসনের কড়া নজর (Firing in Berhampore)
গোটা শহরে এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ দিশেহারা, আতঙ্কিত। পুলিশ প্রশাসন শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নজরদারি চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাড়ানো হয়েছে টহলদারি ও নজরদারির মাত্রা।
বহরমপুর শহরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের ঠিক আগে এমন গুলির ঘটনা প্রশ্ন তুলছে দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শহরবাসীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।