Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের নদীগুলির মধ্যে গঙ্গার স্থান যেন (Ganga Jal) একেবারে অনন্য। হিমালয়ের কোলে গঙ্গোত্রী থেকে উদ্ভব হয়ে এ নদী শুধু একটি প্রাকৃতিক জলধারা নয়, হিন্দু ধর্মে গঙ্গাকে মা ও দেবী রূপে পূজা করা হয়। প্রতিটি পূজার ঘটে, শান্তিজলে বা আচার-অনুষ্ঠানে গঙ্গাজল অপরিহার্য। বিশ্বাস করা হয়, গঙ্গাজলের স্পর্শেই দূর হতে পারে জীবনের নানা বাধা-বিপত্তি ও গৃহক্লেশ।
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গাজল? (Ganga Jal)
গঙ্গাজলকে শুধু পবিত্র বলা হয় না, বাস্তুশাস্ত্রেও একে একটি (Ganga Jal) শক্তিশালী শুদ্ধকারী উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বাড়িতে যখন অশান্তি, রোগ-ব্যাধি, আর্থিক ক্ষতি বা সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয়, তখন গঙ্গাজলের ব্যবহার আশ্চর্যজনক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করেন বাস্তুবিশারদরা।
বাস্তুদোষ কাটাতে গঙ্গাজল (Ganga Jal)
যদি বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকে এবং তার কারণে নিত্যদিন (Ganga Jal) ঝগড়া, মানসিক অস্থিরতা কিংবা বাধা-বিপত্তি দেখা যায়, তাহলে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের আগে সারা ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। এটি শুধু নেতিবাচক শক্তি দূর করে না, বরং গৃহে একটি ইতিবাচক পরিবেশও তৈরি করে।

সন্তানের নিরাপত্তায়
অনেক সময় দেখা যায়, ছোট বাচ্চারা বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ে, কিংবা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। এর পিছনে নেতিবাচক শক্তি বা কারও কুদৃষ্টি কাজ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুর ঘরের চারপাশে ও বিছানার ওপর গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিলে তা অভিভাবকদের অনেকটাই স্বস্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন: September Holiday List: উৎসবের আগমনী বার্তা সেপ্টেম্বরেই, আর ছুটি কবে?
গঙ্গাজল কোথায় রাখবেন?
গঙ্গাজল সব জায়গায় রাখা উচিত নয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে, এটি সর্বদা গৃহের সবচেয়ে পবিত্র স্থানে রাখা উচিত যেমন গৃহমন্দির। রান্নাঘর, বাথরুম বা শোবার ঘরে গঙ্গাজল না রাখাই শ্রেয়। এছাড়া গৃহের উত্তর-পূর্ব কোণে পিতলের পাত্রে গঙ্গাজল রেখে দিলে তা বাস্তুগত সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে।