ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোশ্যাল মিডিয়ার (Glowing Water Trend) জগতে প্রতিদিনই জন্ম নেয় নতুন নতুন ট্রেন্ড। কেউ সাজগোজ শেয়ার করছেন, কেউ বা রাঁধছেন, কেউ আবার ভিডিও বানিয়ে দেখাচ্ছেন আজব সব ‘ম্যাজিক’। সম্প্রতি এমনই এক আলো-ছায়ার খেলা নিয়ে ভাইরাল হয়েছে নতুন ট্রেন্ড গ্লোয়িং ওয়াটার।
হার্মলেস নাকি হার্মফুল? (Glowing Water Trend)
এই ট্রেন্ডে প্রয়োজন মাত্র তিনটি (Glowing Water Trend) জিনিস: এক গ্লাস জল, এক চিমটে হলুদ (বা ভিটামিন বি২ ক্যাপসুল) এবং মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট। অনেকে আবার বলছেন, এতে লুকিয়ে আছে তন্ত্র-মন্ত্রের ছায়া। তাই এই ট্রেন্ড হার্মলেস নাকি হার্মফুল , তা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কী করা হচ্ছে এই ট্রেন্ডে? (Glowing Water Trend)
প্রথমে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট অন করে সেটিকে টেবিলের উপর উপুড় (Glowing Water Trend) করে রাখা হয়। তার উপর রাখা হয় কাচের গ্লাস ভর্তি জল। ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়ার পর সেই জলে দেওয়া হয় সামান্য হলুদ বা বি২ ক্যাপসুল। সঙ্গে সঙ্গে গ্লাসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এক রহস্যময় সোনালি আভা, যা চোখ জুড়ানো হলেও অনেকে বলছেন, এতে আছে গোপন বিপদের ইঙ্গিত! এই অসাধারণ দৃশ্য দেখে অনেকেই ভিডিও করছেন, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউবে আপলোড করে নিচ্ছেন হাজার হাজার ভিউ আর লাইক।
কিন্তু সমস্যার শিকড়?
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ এই ট্রেন্ডকে ‘নিরীহ’ ভাবার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর মতে, অন্ধকারে জলে হলুদ ফেলে আলোয় ফোকাস করার পদ্ধতি বহু পুরনো এক তান্ত্রিক আচারের প্রতিচ্ছবি। এটি আত্মা বা নেতিবাচক শক্তিকে আহ্বান করার এক গোপন কৌশল বলে দাবি করেছেন তিনি। ফলে যে ট্রেন্ডকে মজা হিসেবে দেখা হচ্ছে, তা অজান্তেই বাড়িতে আনতে পারে অশুভ শক্তি বা অশান্তির সূত্রপাত।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ব্যবহারকারী এই ‘গ্লোয়িং ওয়াটার’ ট্রেন্ডকে নিছক অপচয় বলেই মনে করছেন। কারও মতে, শুধুমাত্র কনটেন্ট বানানোর জন্য জল ও খাবারের অপচয় হচ্ছে। কেউ আবার এই কাজকে ‘কালা জাদু’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিশেষ করে অন্ধকার ঘরে এই পরীক্ষা অনেকেই মানসিকভাবে অস্বস্তিকর বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: কসবা কান্ডের প্রতিবাদে বিজেপির কসবা অভিযান, একাধিক শর্তে মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের
সতর্ক থাকুন
এই ধরনের ট্রেন্ড যতটা আকর্ষণীয়, ততটাই বিতর্কিতও। তাই চোখ বন্ধ করে অনুসরণ না করে, কোনও কিছু করার আগে তার গভীর তাৎপর্য ও প্রভাব ভালোভাবে বুঝে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এক মুহূর্তের ভাইরাল ভিডিও হয়তো এনে দিতে পারে অশান্তির ছায়া।
ডিসক্লেমার: ধর্মীয় ও জ্যোতিষ বিশ্বাস একান্তই ব্যক্তিগত। এই প্রতিবেদন কোনও বিশ্বাস বা মতাদর্শকে সমর্থন করে না। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।