ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) এবং ডায়রেক্টরেট (Gold Biscuits Seized) অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৃহত্তর পরিমাণ সোনা এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় আহমদাবাদের পালদি এলাকায় একটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় আধিকারিকেরা অবাক হয়ে যান।
কোটি টাকার নগদ অর্থ (Gold Biscuits Seized)
এটিএসের কর্মকর্তারা জানায়, গোপন সূত্রে তাদের কাছে খবর আসে যে, পালদি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকা রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তারা দ্রুত ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানোর (Gold Biscuits Seized) সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ফ্ল্যাটটির দরজা বন্ধ ছিল, আধিকারিকেরা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং তখনই তারা ৯৫ কেজি সোনার বিস্কুট এবং প্রায় ৯০ কোটি টাকার নগদ অর্থ উদ্ধার করেন।
আলমারিতে বিপুল পরিমাণ টাকা! (Gold Biscuits Seized)
তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ফ্ল্যাটটির মালিক হচ্ছেন মেঘ এবং তার বাবা মহেন্দ্র শাহ। তবে দু’জনেই (Gold Biscuits Seized) বর্তমানে পলাতক। একটি আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের ভিতরে একটি বাক্সে ৯০ থেকে ১০০টি সোনার বিস্কুট মজুত ছিল এবং একটি আলমারিতে বিপুল পরিমাণ টাকা পায়।
চলছে তল্লাশি
এটিএসের সহকারী কমিশনার এসএল চৌধুরি বলেন, “আমরা ৯৫ কেজির বেশি সোনার বিস্কুট, গহনা এবং ৯০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছি। আমাদের ধারণা, অভিযুক্তরা একটি বড় পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত।” তারা পলাতক থাকায় তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ডিআরআই-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত সোনার ওজন এবং টাকার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বিশেষ যন্ত্র আনা হয়েছে।
পুলিশের নজরদারি
এটি প্রথম নয়, এর আগে ২০২০ সালে আহমদাবাদে একটি গুদামঘর থেকে ১০০ কেজি সোনা এবং সুরাতে একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এই ধরনের অভিযানগুলো দেশজুড়ে অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পুলিশের নজরদারির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সতর্ক সংকেত
সোনার পাশাপাশি নগদ টাকার এই বিশাল পরিমাণ উদ্ধার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য একটি সতর্ক সংকেত। সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই ধরনের পাচার চক্রগুলি দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।