ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যপাল। ওই রিপোর্টে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি (Governor Urges President’s Rule) নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
ঠিক কী বলা হয়েছে রাজ্যপালের রিপোর্টে? (Governor Urges President’s Rule)
রাজ্যপালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মুর্শিদাবাদের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট। ধর্মীয় পরিচয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।” প্রশাসনিক ব্যর্থতার স্বচ্ছ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Pakistani Citizen Arrested: ৪৫ বছরের সংসার, দুই মেয়ে! চন্দননগর থেকে গ্রেফতার ‘পাকিস্তানি’ বউ
রাজ্যের শাসনযন্ত্র ভেঙে পড়লে সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন—এই ভাষাতেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ উঠে এসেছে রিপোর্টে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মানুষের আস্থা ফেরাতে মুর্শিদাবাদ ও মালদায় স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও নজরদারি বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছেন রাজ্যপাল (Governor Urges President’s Rule)।
তিনি আরও বলেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকায় এখনও আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে (Governor Urges President’s Rule)। মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং সংবিধান রক্ষায় প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ।” রাজ্যপাল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে স্থায়ী BSF পোস্ট বসানোর সুপারিশও করেছেন।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের দায়িত্বশীল নেতারা নেবেন পদক্ষেপ
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত মাসে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। প্রতিবাদের নামে গুন্ডামিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল নবাবের জেলায়। শান্তি ফিরিয়ে আনতে হাই কোর্টের নির্দেশে নেমেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সামশেরগঞ্জ থানার ওসি শিবপ্রসাদ ঘোষ এবং থানার মেজোবাবু তথা এসআই জালালউদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুরু হয়েছিল বিভাগীয় তদন্তও।

এবার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাঁদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হল। যতদিন সাসপেন্ড থাকবেন ততদিন তাঁর বেসিক বেতনের অর্ধেক পাবেন। পাশাপাশি সরকারি জিনিসপত্র সমস্ত জমা দিয়ে দিতে হবে। তবে প্রতিদিন জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার রোল কলের সময় তাঁদের উপস্থিত থাকতে হবে।