ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আষাঢ় মাস মানেই (Guru Purnima 2025) বর্ষার মধুর আবহে এক বিশেষ তিথি গুরুপূর্ণিমা। প্রতি বছর আষাঢ়ের পূর্ণিমায় পালন করা হয় গুরুপূর্ণিমা, যেদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় জীবনের প্রকৃত পথপ্রদর্শক, অর্থাৎ গুরুদের প্রতি। ২০২৫ সালে এই পুণ্যতিথি পড়েছে ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার। লক্ষ্মীবার ও পূর্ণিমা একসঙ্গে পড়ায় এবারের গুরুপূর্ণিমা এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। জ্যোতিষ মতে, এই বিশেষ দিনে কিছু নির্দিষ্ট আচরণ মেনে চললে সংসারে ধন-সম্পদের যোগ বৃদ্ধি পায় এবং দূর হয় দারিদ্র।
নারায়ণ ও মা লক্ষ্মীর পুজো (Guru Purnima 2025)
এই পুণ্যদিনে ভগবান নারায়ণ ও মা লক্ষ্মীর পুজো বিশেষ ফলদায়ক (Guru Purnima 2025) হয়। এই পুজোর আগে বাড়ি ও ঠাকুরঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করে আলপনা দেওয়ার পর, শুদ্ধ বস্ত্রে বসে হলুদ ফুল, পদ্মফুল ও হলুদ ফুলের মালা নিবেদন করতে হবে নারায়ণ ও লক্ষ্মীর চরণে। এই পুজোর সময় পবিত্রতা ও নিষ্ঠা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
টোটকা পালন (Guru Purnima 2025)
পুজোর এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল একটি ছোট কিন্তু ফলদায়ক (Guru Purnima 2025) টোটকা। এই দিনে মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করতে হবে এক মুঠো আতপ চাল, একটি পান, একটি সুপুরি ও একটি এক টাকার মুদ্রা। এই উপকরণগুলি দিনের বেলায় পুজোয় নিবেদন করার পর, সন্ধ্যাবেলায় আবার এগুলি একত্র করে একটি হলুদ শালুর কাপড়ে জড়িয়ে রাখতে হবে। কিন্তু এই কাজটি করতে গিয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন আপনাকে দেখতে না পায়। টোটকা পালন করার আগে রান্নাঘর ও ভাঁড়ার ঘর ভালভাবে পরিষ্কার করে নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি।
চাল রাখার পাত্রে স্থাপন
এই হলুদ কাপড়ে মোড়া প্যাকেটটি পরে আপনার বাড়ির চাল রাখার পাত্রে স্থাপন করুন। বিশ্বাস করা হয়, এই টোটকা যদি সঠিকভাবে পালন করা যায়, তবে সারা বছর ধরে পরিবারে কোনও অর্থ বা অন্নের অভাব হয় না। সংসার থেকে দূর হয় অভাব, অনটন ও দুঃখ কষ্ট।
আরও পড়ুন: Daily Horoscope: মেষ থেকে মীন, বৃহস্পতিবার কোন রাশির ভাগ্যে খুলবে, কার জন্য সতর্কবার্তা?
তবে মনে রাখা দরকার, এইসব টোটকা বা আচার ধর্মীয় বিশ্বাস ও লোকাচারভিত্তিক। তাই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ পণ্ডিতের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গুরুপূর্ণিমার এই পুণ্য দিনে যদি মন থেকে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস নিয়ে এই আচরণগুলি পালন করেন, তবে পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ স্থায়ী হতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে রচিত। যেকোনও আচার পালন করার আগে জ্যোতিষ বা ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।)