ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আলেপ্পোর পর সিরিয়ার (Syria) আরও একটি শহর নিজেদের দখলে নিলো সিরিয়ার বিদ্রোহীরা (Hama City Capture)। বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পরই হামা শহর থেকে সামরিক বাহিনী (Military Forces) প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিরিয়া। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই হামা শহরটি (Hama City) দখল করল সিরিয়ার বিদ্রোহীরা (Hama City Capture)।
বিদ্রোহীদের দাপটে নাজেহাল সিরিয়া (Hama City Capture)
বিদ্রোহীদের দাপটে নাজেহাল সিরিয়ার সেনাবাহিনী (Military Forces)। বিদ্রোহীদের মুহুর্মুহু হামলার মুখে পরে কার্যত পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সিরিয়ার আলেপ্পোর পর এবারে হামা শহরটিরও দখল নিলো সিরিয়ার বিদ্রোহীরা (Hama City Capture)। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় সিরিয়ায় (Syria)। গৃহযুদ্ধের পুরোটা সময় হামা শহর ছিল আসাদ সরকারের হাতে। আলেপ্পো থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হামা শহরটি। এ শহরে প্রায় ১০ লাখ মানুষের বাস।হামা শহরটি ছিল সিরিয়ার অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ শহর। এই শহরের মাধ্যমেই আলেপ্পোর সঙ্গে রাজধানী দামাস্কের সংযোগ স্থাপন সম্ভব। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ শহর এখন সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে (Hama City Capture)।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা (Hama City Capture)
সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম, যা পরিচিত এইচটিএস নামে। এই সংগঠনের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি (Leader Abu Muhammad al-Julani)। ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম ও তুরস্কের সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (Syrian National Army) নিয়ে গড়ে উঠেছে বিদ্রোহী দলগুলো। গত সপ্তাহে আলেপ্পো শহরটিতে বিধ্বংসী হামলা (Attack On The Aleppo City) চালায় সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উত্তর-পশ্চিমে থাকা শক্তিশালী ঘাঁটি থেকে চালানো হয় আকস্মিক হামলা। যার জেরে আগেই আলেপ্পো শহরটি চলে গিয়েছিলো বিদ্রোহীদের দখলে (Hama City Capture)।
আরও পড়ুন: Bangladesh: বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর দাবি! কখন শান্তিসেনা পাঠাতে পারে রাষ্ট্রপুঞ্জ?
হামা শহর দখল বিদ্রোহীদের (Rebels Capture The Hama City)
সূত্রের খবর, আলেপ্পো শহর দখলের পরই (After Aleppo City Occupied) উত্তরাঞ্চলের হামা শহরের দিকে এগোতে শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পথে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয় (Army Clashes With Rebels) । অভিযোগ, বিদ্রোহীরা বিভিন্ন দিক থেকে শহরে হামলা চালিয়েছে (Attack On The City)। হামা শহর দখলের কথা প্রথম ঘোষণা করেন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি (Abu Muhammad al-Julani)।
সিরিয়ার কারাগার দখল (Capture Of Syrian Prisons)
শুধু এখানেই থেমে থাকেনি বিদ্রোহীরা, শহরের একটি সামরিক বিমানবন্দরও (Military Airport) নিজেদের দখলে নিয়েছে তাঁরা। এই বিমানবন্দরটি সিরিয়ার সবচেয়ে বড় একটি বিমানবন্দর হিসেবেই পরিচিত। সূত্রে খবর, এই বিমানবন্দর থেকে সরকারি বাহিনী, বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে (Attack On Rebels)।সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শাম-এর তরফে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার একটি কারাগার দখল (Capture Of Syrian Prisons) করে, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেখানকার বন্দিদের।
বিপাকে আসাদ সরকার (Assad government in trouble)
অতীতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (President Bashar Al-Assad), বিরোধীদের পরাস্ত করতে রাশিয়া ও ইরানের ওপর নির্ভর (Depends On Russia And Iran) করতেন। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত রাশিয়া (Russia Ukraine war)। এদিকে, লেবাননে (Lebanon) ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর অনেক সিনিয়র নেতার মৃত্যু হয়েছে। ফলে সিরিয়া ঘনিষ্ঠ এই দুই মিত্র শক্তি, আসাদ সরকারের বাহিনীকে সেভাবে সহায়তা করতে পারছে না। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে বিদ্রোহীরা (Rebels Taking Advantage), এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
২ গুরুত্বপূর্ণ শহর হারাল সিরিয়া (Syria Lost 2 Important Cities)
প্রথমে আলেপ্পো (Aleppo), পরবর্তীতে হামা (Hama), পরপর ২ গুরুত্বপূর্ণ শহর হারিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কপালে। এটি প্রেসিডেন্ট আসাদের একটি বড় পরাজয় (Major Defeat) বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হামা দখলে নেওয়ার পর এবারে দামেস্কের (Damascus) খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারবে বিদ্রোহীরা। যার জেরে আরও বাড়ছে অশনি সংকেতের ছায়া।