Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর ভারতের পার্বত্য রাজ্য উত্তরাখণ্ড (Himachal Pradesh) ও হিমাচল প্রদেশে ফের প্রকৃতির তাণ্ডব। মঙ্গলবার ভোররাতে দেহরাদূনের সহস্রধারায় হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি, জলের তোড়ে ভেসে যায় দোকানপাট ও দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। এখনও পর্যন্ত সেখানে নিখোঁজ তিনজন।
বেশ কয়েকটি বাস ভেসে যায় (Himachal Pradesh)
অন্যদিকে, সোমবার গভীর রাতে হিমাচলের মন্ডী জেলার (Himachal Pradesh) ধরমপুর শহরে প্রবল বৃষ্টিতে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জল জমে যায় এবং স্রোতের মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি বাস ভেসে যায়। ওই এলাকায় নিখোঁজ অন্তত দু’জন। নিরাপত্তার স্বার্থে হিমাচল প্রদেশে আপাতত তিনটি জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৪৯৩টির বেশি ছোট ও মাঝারি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কাদার স্তূপে চাপা পড়েছে অন্তত ১৫টি গাড়ি।
দ্রুত সক্রিয় হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (Himachal Pradesh)
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় দ্রুত সক্রিয় হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (Himachal Pradesh) ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF)। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহরাদূনে সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কারণে।
প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ
উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁরা রাজ্য সরকারকে সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ধামী জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের ঘটনা
এই মৌসুমে উত্তর ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে একের পর এক মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের ঘটনা ঘটছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০ জুন থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিমাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১৮ জন। হিমাচল সরকারের হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৪৬৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ITR Filing: আয়কর রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে দুর্ভোগ, অবশেষে বাড়ল সময়সীমা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি বর্ষায় হিমাচলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা এই বিধ্বংসী পরিস্থিতির অন্যতম কারণ। এর আগে ৫ অগস্ট, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ক্ষীরগঙ্গা নদীতে হড়পা বান নামে। সুক্কি, ধরালী-সহ একাধিক গ্রাম সম্পূর্ণ ধুয়ে যায় জলের তোড়ে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। এখনও পর্যন্ত সেখানে সরকারি হিসেবে মৃত ৫ জন, নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।