ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের মুখে ফের বিপাকে আম আদমি পার্টির(AAP) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল(Arvind Kejriwal)। আবগারি দুর্নীতি মামলায়(Delhi Excise Policy Scam) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে ইডি(ED)। মিলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন।
কেজরি-সিসোদিয়ার আইনি প্রক্রিয়ার অনুমতি(Delhi Excise Policy Scam)
দিন কয়েক আগেই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা আবগারি দুর্নীতি(Delhi Excise Policy Scam)মামলায় আইনি প্রক্রিয়ার অনুমোদন দিয়েছিলেন। এ বার অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে ইডি সেই অনুমোদন পেল। শুধু কেজরীওয়ালই নয়, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়ার(Manish Sisodia) বিরুদ্ধেও তদন্ত করতেও কোনও বাধা রইল না।ইডিকে আইনি প্রক্রিয়া চালানোর অনুমতির পর আরও অস্বস্তি বাড়ল আপ সুপ্রিমোর।
আবগারি মামলায় ‘কিংপিন’ কেজরীওয়ালই!(Delhi Excise Policy Scam)
গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়ালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এর আগে ইডির কোনও মামলায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। তার ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি লেখে। আবগারি মামলায়(Delhi Excise Policy Scam)‘কিংপিন’ কেজরীওয়ালই বলে সেই চিঠিতে দাবি করে ইডি।
আরও পড়ুন : Farmers Protest: পরনে কালো পোশাক, শুরু হল আমরণ অনশন
ইডিকে সরকারি অনুমতির সুপ্রিম কোর্টের
আবগারি মামলায় গত জুলাই মাসে ২০০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছিল ইডি(ED)। তাতে কেজরীওয়াল এবং দিল্লির শাসকদল আপকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, কেজরীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য ওই চার্জশিটে আছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হাই কোর্টে তাঁর আবেদন ছিল, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, যা ইডি নেয়নি। সেই আবহেই নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম জামিনের পরেও ফের বিপাকে কেজরী
কেজরীকে ইডি গ্রেফতার করেছিল গত ২১ মার্চ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই কেজরী ইডি তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে ইডির তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করার অনুমোদন ছিল না। একই মামলায় সিবিআই তাঁকে ২৬ জুন ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে। তবে দু’টি ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। জেল থেকে বেরিয়ে কেজরী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। তার মধ্যেই শাহের মন্ত্রকের অনুমোদনে বিপাকে পড়লেন কেজরীওয়াল।
প্রসঙ্গত, ১০০০ কোটি টাকার আবগারি নীতি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল ও মণীশ সিসোদিয়া। দুইজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা। বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করছে।