ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বুধবার গভীর রাতে হাওড়ার(Howrah Shoot Out) ঘোষপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে নেতাজি সুভাষ রোডে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হাওড়ায় গুলিবিদ্ধ হুগলি জেলার এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁর হাতে গুলি লেগেছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ১১টা নাগাদ। পুলিশ আধিকারিকের সার্ভিস রিভলভার থেকেই গুলি চলে। গুলি চালানোর উদ্দেশ্য এবং কে গুলি চালিয়েছে তা জানা যায়নি। পুলিশ অফিসারের বাঁ হাতে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় ওই পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে এক মহিলা ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি (Howrah Shoot Out)
গুলিবিদ্ধ অফিসারের নাম জয়ন্ত পাল। হুগলির চণ্ডিতলা থানার আইসি(Howrah Shoot Out)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘোষপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি নীল রঙের চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে নামেন জয়ন্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিনু দাম নামে এক মহিলা। পিছনে আরও একটি সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে আরও কয়েকজন নামে। দুটো গাড়ি মিলিয়ে চারজন ছিলেন। তারপর ঘোষপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে পুলিশ আধিকারিকের সার্ভিস রিভলভার থেকেই গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন ওই আইসি।
ব্যক্তিগত কাজে হাওড়ায় আইসি (Howrah Shoot Out)
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কাজে হাওড়ায় এসেছিলেন আইসি(Howrah Shoot Out)। নেতাজি সুভাষ রোড দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির ভেতরেই কোনও বিষয় নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়। কথা কাটাকাটির মাঝে আচমকাই সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চলে। জয়ন্তর বাঁ হাতে লাগে গুলি। এরপর তাঁকে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটি আসেন স্থানীয়রাও।
আরও পড়ুন: Thunderstorm At Kharagpur: আচমকা ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব খড়গপুরে, ভেঙে পড়ল অসংখ্য গাছ
ঘটনাস্থলে ব্যাঁটরা ও শিবপুর থানার পুলিশ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ব্যাঁটরা ও শিবপুর থানার পুলিশ(Howrah Shoot Out)। আহত জয়ন্তবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে তারা। আটক করা হয় মহিলাকে। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কার্তুজের খোল। যা দেখে পুলিশ আধিকারিকরা নিশ্চিত গুলি চলেছে জয়ন্তবাবুর সার্ভিস রিভলভার থেকে। রাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জয়ন্তবাবুকেও।

গাড়ির ভেতরেই বসে ছিলেন মহিলা
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গাড়ির ভেতরেই বসে ছিলেন মহিলা। তার মুখেও রক্ত লেগে ছিল। ঘটনার পর স্থানীয়রা ছুটে গেলে, পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সামলে নেওয়ার কথা বলা হয় বলে দাবি ওই প্রত্যক্ষদর্শীর। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রক্তের দাগ। তবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্বাভাবিকভাবেই।
আরও পড়ুন: Traumatic deaths in Tangra: একই পরিবারের ৬ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা, বাড়িতেই মৃত ৩!
মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক?
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে চাইছে যে মহিলার সঙ্গে আহত আধিকারিকের তার সম্পর্ক কী। এই ঘটনা কি ওই মহিলার সঙ্গে বিরোধের কারণে ঘটেছে? প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতরেই কোনও বিষয় নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়৷ কথা কাটাকাটির মধ্যেই আচমকা গুলি চলে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার সঙ্গে কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে জয়ন্তবাবুর। সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে সম্ভবত নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে নিজেই গুলি চালিয়েছেন জয়ন্তবাবু। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।