ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিয়ের তিরিশ বছর পর স্ত্রীকে নির্যাতন এবং আগুনে পুড়িয়ে খুন (Husband Kills Wife) করা অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ত্রিশ বছর পর সেই দোষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়ছে এখন ওই বৃদ্ধকে।চুঁচুড়া আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক শুভ্রা ভৌমিক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার এই খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড (Husband Kills Wife)
৫ এপ্রিল বিশ্বজিতকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ৪৯৮এ ধারায় ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড এক হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে একমাস জেল। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ ০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত (Husband Kills Wife)। মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন প্রশান্ত আগরওয়াল। তাঁকে পাশে নিয়ে আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলী বলেন, “বলাগড়ের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস (৬১) তাঁর স্ত্রী চন্দনা দাস (৫৫)কে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। চুঁচুঁড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে স্বামীকে দায়ী করেন ওই মহিলা। ৯ জানুয়ারি মৃত্যু হয় চন্দনার।”
স্ত্রী চন্দনা দাসের গায়ে কেরোসিন (Husband Kills Wife)
আদালত সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি। বলাগড়ের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ৫৫ বছরের চন্দনা দাসের প্রবল ঝগড়া হয়। রাগের মাথায় স্ত্রী চন্দনা দাসের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন বৃদ্ধ। আগুনে সাংঘাতিক ভাবে পুড়ে যান তিনি (Husband Kills Wife)। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ঘটনার দুদিন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে স্বামীকে দায়ী করে যান চন্দনা দাস।
মদ্যপ অবস্থায় মারধর
দম্পতির বড় মেয়ে সরসী দাস মায়ের মৃত্যুর পর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বলাগড় থানায়। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ জানুয়ারি অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করে। মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন প্রশান্ত আগরওয়াল এবং আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী ছিলেন শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিয়ের দশ বছর পর থেকেই তাঁর উপর শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। মদ্যপ অবস্থায় চলত অকথ্য মারধর। পুলিশ ২৭ জানুয়ারি বিশ্বজিতকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে। মামলার তদন্ত করেন উজ্জ্বল দে। মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এই ঘটনায়।