ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অস্কারের মঞ্চে নমিনেশন পেল ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) বাংলা গান ‘ইতি মা’ (Iti maa)। অস্কার ( Oscar) মঞ্চ বলে কথা। এই খবরে শুধু গোটা বাংলা নয়, গোটা দেশ তোলপাড়। পুতুল (putul) সিনেমার এই গানটি যখন ইমন গেয়েছিলেন, তখন কি বুঝেছিলেন যে এটি অস্কারের মঞ্চে যাবে?
আমাদের তরফ থেকে ইমনের স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষের (Nilanjan Ghosh) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফোনের ওপার থেকে বোঝা যায়, তাঁর গলায় স্পষ্ট উচ্ছ্বাস এবং একরাশ খুশি। তিনি কি এই সুখবরে স্ত্রীয়ের জন্য বিশেষ উপহারের আয়োজন করেছেন? সবটাই জানালেন আমাদের।
কী বললেন নীলাঞ্জন? (Iman Chakraborty)
নীলাঞ্জন ঘোষকে ফোন করা মাত্রই তিনি জানান, “আমি এটা নিয়েই ভাবছিলাম। আমাদের দেশে কত পপুলেশন। তার মধ্যে কত সিনেমা বেরোয়। কত গান রয়েছে। প্রচুর সঙ্গীত শিল্পী রয়েছেন। তারা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে থেকে অস্কারের মঞ্চে বাংলা গান নমিনেশন পেয়েছে। টোটাল যে ৭৯টি গান রয়েছে, তার মধ্যে একটি গান ইমনের (Iman Chakraborty)। শুনলেই বোঝা যাচ্ছে, এই ঘটনা কতটা রেয়ার। অবশ্যই ইমনের গান বলে, এর থেকে আনন্দের বিষয় আমার জন্য কিছু হতে পারে না”। এই খবর তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাননি।
আরও পড়ুন: Iman Chakraborty Oscar Nomination: ইমনের গান অস্কারের মঞ্চে! বাঙালির বড় প্রাপ্তি ‘ইতি মা’
নীলাঞ্জনকে জানালেন ইমন (Iman Chakraborty)
নীলাঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়াতে অতটা অ্যাক্টিভ নন। খবরটা জানা মাত্রই নীলাঞ্জনকে জানিয়েছেন ইমন (Iman Chakraborty)। তখন তিনি থেকেই বিষয়টা নিয়ে নীলাঞ্জন ভাবছেন। গানটি এর আগেও তিনি শুনেছেন। আবারও একবার শুনলেন। গানটি ভীষণ সুন্দর। যেভাবে এই জায়গায় পৌঁছেছে, ফাইনালি যাই হোক না কেন, এটা একটা বড় ব্যাপার। এমনটাই মনে করছেন নীলাঞ্জন।
অস্কারের জন্য তৈরি হয়নি
এই গানটা যখন তৈরি হচ্ছে, তখন কিন্তু অস্কারের মঞ্চের জন্য একেবারেই তৈরি হয়নি। ইমন চক্রবর্তী প্রচুর গান রেকর্ড করেন। যখন গান গাইতে যান, বাড়িতে মাঝে মধ্যেই চলে প্র্যাকটিস। তখন নীলাঞ্জন সেই ফাঁকে কিছুটা শোনেন। আবার কখনও বা গান গেয়ে ইমন বাড়ি ফিরে কি হল, না হল সবটাই নীলাঞ্জনকে বলেন। ‘ইতি মা’ গানটি নীলাঞ্জনের মাথা থেকে প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিল। কারণ এটি বেশ কিছুদিন হয়েছে, রিলিজ করেছে।
আরও পড়ুন: Rajatava Dutta: অজানা গ্রাম আসারু, রহস্য উদ্ধার করবে রজতাভর ‘কাল্পনিক’
বাংলায় কিচ্ছু হয় না!
এই যে বলা হয়, বাংলায় কিছু হচ্ছে না। বহু শিল্পী বাংলার বাইরে কাজ করতে যান। কেউ বা মুম্বাইতে চলে যান। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এটা একটা বড় পাওনা। নীলাঞ্জনের কথায়, এটা প্রথম কৃতিত্ব তাঁদের, যাঁরা এটা নিয়ে লড়েছেন। অনেকগুলো সিস্টেমের ধাপ পার করেছেন। অবশ্যই গানটি ভালো বলে সেই স্টেপগুলো পেরিয়ে নমিনেশন পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্রথমত, তালিকায় ভারতীয় সিনেমা রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা এটি বাংলা সিনেমার গান। নীলাঞ্জন আরও বলেন, কাজ আমরা করি। কিন্তু অত প্ল্যান করে করি না। ইমন যখন এই গানটি গাইতে গিয়েছিলেন, জানতেন না পরিণতি কী হবে। মন থেকে ১০০ শতাংশ দিয়ে গানটি গেয়েছে। সেটা যে এই জায়গায় পৌঁছাবে, সেটা একটা বড় আনন্দের ব্যাপার।
রিটার্ণ গিফট
এত বড় খবরে আপাতত স্ত্রী ইমনকে কোনও রিটার্ন গিফট দেওয়ার প্ল্যান করছেন না নীলাঞ্জন। তবে তিনি ইমনের জীবনসঙ্গী হিসেবে এই খবরে অত্যন্ত গর্বিত। তিনি মনে করছেন, উল্টে ইমন তাঁকে উপহার দিয়েছেন। নীলাঞ্জন বলেন, “আমি আরও বেশি খুশি হব, যদি অ্যাওয়ার্ডটা হাতে এসে পৌঁছায়। এত দূর যদি যাওয়া যায়, তবে পরের স্টেপটাই বা কেন হবে না? আলাদা করে ইমনকে দেবার বা কী আছে? ওকে ওর উপহার সঙ্গীত দিচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি চাই অ্যাওয়ার্ডটা হাতে আসুক।”