Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: G7 শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ যদি আমন্ত্রণ জানানোর সময় শেষ হয়ে যায় (India Not Yet Invited to G7), তাহলে শীর্ষ সম্মেলনে দিল্লির অনুপস্থিতি হবে ২০১৯ সালের পর প্রথম বিরতি। ২০২০ সালে আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক G7 সম্মেলন বাতিল করা হয়েছিল, তা ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে ভারতের অবস্থান অনিশ্চয়তায় (India Not Yet Invited to G7)
১৫ জুন কানাডার ক্যানানাস্কিসে (আলবার্টা) শুরু হতে চলা G7 সম্মেলনের মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি (India Not Yet Invited to G7)। এখনও পর্যন্ত ভারতকে ওই সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ না এলে ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে উপস্থিত থাকবেন না। একমাত্র ২০২০ সালেই মোদী G7 সম্মেলনে অংশ নেননি, কারণ সে বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনটি বাতিল করেছিল।
কেন আসেনি আমন্ত্রণ? (India Not Yet Invited to G7)
ভারত ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির প্রভাব সম্ভবত এই আমন্ত্রণে পড়েছে (India Not Yet Invited to G7)। ২০২৩ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ তোলেন যে কানাডার খালিস্তানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সরকারি এজেন্টরা “সম্ভাব্যভাবে” জড়িত থাকতে পারে। ভারত এই অভিযোগকে “বেআইনি” ও “উদ্দেশ্য প্রণোদিত” বলে উড়িয়ে দেয়। এরপর দুই দেশের মধ্যেই কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয়।
অতীতের অংশগ্রহণ
সাধারণত G7 আয়োজক দেশগুলি কয়েকটি অতিথি দেশকে আমন্ত্রণ জানায় (India Not Yet Invited to G7)। এ বছর কানাডা এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন ও অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। অন্য কোনও দেশের নাম এখনও জানানো হয়নি। ২০১৯ সালে ফ্রান্সের বিয়ারিৎস শহরে মোদী প্রথমবার G7 সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তার আগের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পাঁচবার G8 সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে রাশিয়াকে ক্রিমিয়া দখলের কারণে বাদ দেওয়ার পর G8 হয়ে যায় G7।
২০২০ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প G7-কে “একেবারে পুরনো ধারণা” বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়াকে এই গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করতে, এবং এর নাম দিতে চেয়েছিলেন “G10” বা “G11”। যদিও করোনা মহামারি ও মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
মোদী ২০২১ সালে ভার্চুয়ালি G7 সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর তিনি ২০২২ সালে জার্মানি, ২০২৩ সালে জাপান এবং ২০২৪ সালে ইটালিতে সরাসরি সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্প্রতি কী হয়েছে?
২০২৫ সালের ২৫ মে, কানাডার নতুন বিদেশমন্ত্রী অনিতা আনন্দ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শংকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এটি ছিল নয়া কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম রাজনৈতিক স্তরের যোগাযোগ। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। অনিতা আনন্দ বলেন, কানাডা চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে। যদিও হারদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে কানাডিয়ান পুলিশ বাহিনী (RCMP)।
আরও পড়ুন: Fitna al Khawarij : নতুন আতঙ্ক পাকিস্তানে, উত্তর ওয়াজ়িরিস্তানে তীব্র সেনা অভিযান!
এক সাক্ষাৎকারে আনন্দ বলেন, “আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। আইনের শাসনের প্রশ্নে কোনও আপস করা হবে না।” পাশাপাশি তিনি জানান, “আমরা পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে চাই, এবং এটাই আমাদের সরকারের অবস্থান… এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত কথা নয়।”
এবার মোদী যাবেন কি?
G7 সম্মেলনের সময়সীমা অনুযায়ী, আমন্ত্রণ পেতে যে সময় দরকার, সেই সময় প্রায় শেষ। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই সিকিউরিটি ও লিয়াজঁ টিমকে পৌঁছে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে, এখন যদি আমন্ত্রণ আসে তবুও মোদীর যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
