ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমন ঘিরে ছাত্র বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি, ব্রাত্য বসু তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের মুখোমুখি হন। প্রতিবাদী ছাত্ররা শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেয় এবং তার পরে “চোর-চোর” ও “গো ব্যাক” স্লোগান দিতে শুরু করে।
শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ইঁট (Jadavpur University)
মন্ত্রীর গাড়িতে ইঁট ছোড়ার অভিযোগও ওঠে, যা প্রমাণ করে (Jadavpur University) পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ছিল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি আহত হয়েছেন এবং এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যান। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এই ধরনের গুন্ডামি চলতে পারে না। আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত, কিন্তু যখন তারা সবাই মিলে গুন্ডামি করে, তখন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়।”
অধ্যাপকের উপর হামলা (Jadavpur University)
বিক্ষোভের সময় অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের উপরও (Jadavpur University) হামলা হয়। কিছু বামপন্থী ছাত্ররা তাকে লাঠি দিয়ে তাড়া করে, যার ফলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ওই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে বাধ্য হন। এই ঘটনায় এক ছাত্রের মাথা ফেটে যায় এবং দুই অধ্যাপক আহত হন। এমনকি, এক মহিলা অধ্যাপকের শাড়ি ছেঁড়ার অভিযোগও উঠেছে। সব মিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: Kolkata Yellow Taxi: কলকাতার ঐতিহ্য এবার নতুন রূপে, ফিরছে হলুদ ট্যাক্সি!
উঠেছে উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ
ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বের হওয়ার আগে বলেন, “এটা যদি উত্তরপ্রদেশে হত, তাহলে কি কোনও ছাত্র সংগঠন এ ধরনের কাজ করতে পারত?” তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ ডাকার পক্ষে নন, কারণ তিনি চান যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক।

কর্মচারী সংগঠনের অফিসেও ভাঙচুর
তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। আন্দোলনরত ছাত্র সংগঠনগুলি টিএমসিপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। ওই সময়, ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে এসএফআই, আইসা, ও ডিএসএফ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পাল্টা মানববন্ধন তৈরি করে টিএমসিপি।
আরও পড়ুন: KMC: বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বিতর্কের জের, কলকাতা পুরসভার শিক্ষা আধিকারিককে এবার সাসপেন্ড!
গাড়ির ধাক্কায় আহত এক ছাত্র
ব্রাত্য বসুর গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোনোর সময় গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্র আহত হয়, যার ফলে সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। পরে, বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর সদস্যরা যাদবপুর এইট বি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান।
আহত শিক্ষামন্ত্রী
এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ব্রাত্য জানান, তাঁর হাতের এক্স-রে করা হয়েছে এবং গাড়ির কাঁচ ভেঙে তার টুকরো হাতে-মুখে লেগেছে। এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের ধৈর্য ও সহনশীলতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না। হামলাকারীদের গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেওয়া হবে।”
বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা
এই সমস্ত ঘটনাবলীর পর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আন্দোলনের আগুন আরও বেড়ে গেল। ছাত্রদের মধ্যে এই বিক্ষোভের স্রোত কিভাবে সামলানো হবে, তা এখন প্রশাসনের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।