ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত (Jammu Kashmir Terror Attack) জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার নদিয়ার তেহট্টে তাঁর বাড়িতে যাবেন বলে জানা গেছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু জানা যাচ্ছে শুভেন্দু নদিয়ার তেহট্টে গেলেও শহিদ জওয়ানের বাড়ি থেকে ন’কিলোমিটার দূরে জিৎপুরে সভা করে ফিরে যান। সেখানেই শহিদের বাবা সবুর শেখের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন বিরোধী দলনেতা। নদিয়ার তেহট্টে মঙ্গলবার ‘নাগরিক সভা’র মঞ্চে সেই পরিবারের লোকজনকে তুলে ‘শ্রদ্ধাজ্ঞাপন’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুধু ঝন্টুর পরিবার নয়, এর আগে নিহত নদিয়ার আরও তিন জওয়ানের পরিবারের লোকজনকেও সেখানে আনা হয়েছিল।
‘আমরা কোনও ভেদাভেদ করি না’ (Jammu Kashmir Terror Attack)
বিরোধী দলনেতা বলেন,”ঝন্টু আলী শেখের মরদেহ যখন এখানে আসে, সেই সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হয় (Jammu Kashmir Terror Attack)। গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।এখানে স্থানীয় স্তরে দলমত নির্বিশেষে সবাই, এমনকী আমি যে রাজনৈতিক দলে বিশ্বাস করি, সেই দলের নেতারাও সামিল হয়েছেন। আমি আগেই আসতাম। তবে মুর্শিদাবাদে থাকার কারণে আসতে পারিনি। আমি অত্যন্ত খুশি যে তেহট্টের নাগরিকরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। আমি প্রতিরক্ষা দফতরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি এই জওয়ানের বাবাকে বলেছি, যে কোনও সাহায্য দরকার হলে আমাদের বলবেন। আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেব। আমরা রাষ্ট্রবাদে বিশ্বাসী। তাঁর জন্য যাঁরা প্রাণ দেবেন সেখানে আমরা কোনও ভেদাভেদ করি না।”
‘একটা চোখ বন্ধ থাকবে না আমি আশা করব’ (Jammu Kashmir Terror Attack)
তেহট্ট জিৎপুর মোড়ে ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছেন, “প্রতিরক্ষা দফতর শ্রদ্ধার সঙ্গে জওয়ানের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে এবং তাঁকে সম্মান দেওয়ার জন্য সব কিছু করা হয়েছে (Jammu Kashmir Terror Attack)। রাষ্ট্রের জন্য যাঁরা নিজেদের বলিদান দেবেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত ভাবেই আছি।” কাশ্মীরে নিহত পর্যটকদের পরিবারের পাশাপাশি ঝন্টুর পরিবারকেও ১০ লক্ষ টাকা এককালীন সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর বক্তব্য, “ঝন্টু শেখের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী অর্থনৈতিক সাহায্য এবং কর্মসংস্থান দেওয়ার কথা বলেছেন। বাকি পরিবারগুলোও যাতে এই ধরনের সহযোগিতা পায় এবং তারা যেন উপেক্ষিত না হয়, সেই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করব।” তাঁর কথায়, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি সব সময় সমান থাকে, তাঁর দু’টো চোখ খোলা থাকবে, একটা চোখ বন্ধ থাকবে না— এটা আমি আশা করব।”
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেবো’
সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘শহিদ ঝন্টু শেখের মৃতদেহ যে দিন গ্রামের বাড়িতে এল, সে দিন আমি আসতে পারিনি। তবে তাঁর পরিবারের পাশে সব সময়ে আছি। যে কোনও ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আপনারা আমাকে বলবেন। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেবো।’ শহিদ পরিবারের ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’র কথা জানতে পেরেই তাঁর বাড়িতে না–যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শুভেন্দু। ঝন্টু শেখের বাবা এ দিন শুভেন্দুর মঞ্চে উঠলেও তাঁর দাদা রফিকুল শেখকে দেখা যায়নি। তিনিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান।