ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার সকালে ঝাঁসি হাসপাতালের (Jhansi Hospital Fire) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির বিষয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় হাস্পাতালের শিশুদের ওয়ার্ডে ১০জন নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেছেন যে উত্তর প্রদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কী হয়েছে? (Jhansi Hospital Fire)
শুক্রবার গভীর রাতে মহারানী লক্ষ্মীবাই মেডিকেল কলেজের (Jhansi Hospital Fire) এনআইসিইউ বিভাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে এবং শ্বাসরোধ হয়ে অন্তত ১০ জন নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কী বলেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী? (Jhansi Hospital Fire)
শনিবার সকালে ঝাঁসি (Jhansi Hospital Fire) পৌঁছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক বলেছিলেন যে ওয়ার্ডে মোট ৪৯ জন শিশু ছিল। কিন্তু ওই হাস্পাতালের এনআইসিইউ বিভাগের মাত্র ১৮টি শয্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, মাঝপথেই নামতে হল প্রধানমন্ত্রীকে
পরবর্তী পরিস্থিতি
সাত শিশুর মৃতদেহ শনাক্ত করা গেলেও তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। ব্রিজেশ পাঠক যোগ করেছেন, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি এক্স পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “হৃদয়বিদারক! উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে অগ্নি দুর্ঘটনা হৃদয় বিদারক। যারা এতে তাদের নিষ্পাপ সন্তানদের হারিয়েছে তাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি যেন তাদের এই অপরিসীম ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দেন।”
প্রধানমন্ত্রী আরও যোগ করেছেন, “স্থানীয় প্রশাসন, রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে, ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে”।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
অন্যদিকে, ইউপিতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে যে সিএম যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে, সরকার মৃত শিশুদের পিতামাতার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে, এবং আহত শিশুদের পরিবারকে ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি
সিএমও-এর তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রী ঝাঁসির বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিআইজিকে ১২ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন”।
কেন ঘটল ঘটনা?
অক্সিজেন কনসেনট্রেটারে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এনআইসিইউতে অত্যন্ত অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশ থাকার কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Karnataka: রাজ্যজুড়ে বন্ধ থাকবে সমস্ত মদের দোকান, মাথায় হাত সুরাপ্রেমীদের
তদন্ত শুরু
আগুনের কারণ নির্ণয় এবং অ্যাকাউন্টেবিলিটি মূল্যায়ন করতে কর্তৃপক্ষ বহু-স্তরের তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি অভিযোগ করেছে যে শুক্রবার বিকেলেও যন্ত্রপাতিতে শর্ট সার্কিট হয়েছিল, যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে ছিল।