ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে স্থাপিত হতে চলেছে রাজ্যের এক নতুন শিল্প-অধ্যায়। জিন্দাল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস (Jindal Power Plant) করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল। পাশাপাশি শিলান্যাস হল ২০০০ একরের বিশাল শিল্প পার্কেরও। এই প্রকল্পকে “বাংলার ল্যান্ডমার্ক” আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় এটা ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প। এর আগে রাজ্যে এমনটা কখনও হয়নি।”
কর্মসংস্থানের হাতছানি (Jindal Power Plant)
শালবনির এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের ২৩টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধা পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এই প্রকল্প ঘিরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগামী ১০০ বছর বাংলায় বিদ্যুতের অভাব হবে না।”
বিদ্যুৎ খাতে বিপুল বিনিয়োগ (Jindal Power Plant)
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো তৈরিতে ৭৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে ৩.৫ লক্ষ লাইন, ৭৫০-র বেশি সাবস্টেশন। বিদ্যুৎ পরিষেবার আওতায় থাকা গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৭ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ। তিনি আরও জানান, আগামী দিনে আরও ৪৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন: Accident At NIT Durgapur: দুর্গাপুর এনআইটির ল্যাবে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া অধ্যাপকের মৃত্যু দিল্লিতে

জিন্দল গোষ্ঠীর বার্তা, শুধু শালবনি নয়, উপকৃত হবে গোটা রাজ্য। জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের উন্নতিতে দিদি অনেক কাজ করছেন। বাংলার উন্নতি মানেই দেশের উন্নতি। এই প্রকল্প শুধু শালবনির নয়, গোটা রাজ্যের শিল্পোন্নয়নের চাবিকাঠি হবে।”
বিরোধীদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর মুখে (Jindal Power Plant)
এই শিলান্যাস মঞ্চ থেকেই বিরোধীদের একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আগে বলা হত লোডশেডিংয়ের সরকার, এখন আর সেই প্রয়োজন নেই। যারা বলেন বাংলায় শিল্প হয় না—তাঁদের বলি, চোখ খুলে দেখে যান!”
এবং তিনি আরও বলেন, “এবার আর আমাকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু শিল্প হচ্ছে—এটাই সত্য।”
আরও পড়ুন: SSC Recruitment Case: এসএসসি ভবনে পৌঁছল চাকরিহারাদের মিছিল
শালবনির এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেরই নয়, বরং শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতীক হতে চলেছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্প ঘিরে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তা বাস্তবে কতটা সফল হয়, এখন সেই দিকেই নজর রাজ্যবাসীর।