ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসককে (Junior Doctors account of expenses) ধর্ষণ ও খুনের পর রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই ভয়াবহ ঘটনার পরই গড়ে ওঠে রাজ্যজুড়ে বিশাল আন্দোলন। শুধু প্রতিবাদ নয়, একাধিক কর্মসূচি, অনশন, ধর্না এবং আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হন তাঁরা। সেই সময় থেকে শুরু হয় জনতার অর্থসাহায্য সংগ্রহ। বুধবার গণকনভেনশনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট।
আইনি লড়াইয়ে খরচ কত (Junior Doctors account of expenses)
ডব্লিউবিজেডিএফ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তারা মোট ২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি অনুদান পেয়েছে। এর মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় ৩১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। এখনও পর্যন্ত সংগঠনের কাছে রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। খরচের খাতে রয়েছে—অনশন মঞ্চ নির্মাণ, সভা-সমাবেশ, ওয়েবসাইট-অ্যাপ তৈরির খরচ, ‘অভয়া ক্লিনিক’ উদ্যোগ এবং আইনি লড়াই।
আদালতের আইনি খরচেই খরচ এই অর্থ (Junior Doctors account of expenses)
এদিকে আরজি কর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (Junior Doctors account of expenses) আলাদা ভাবে অনুদান সংগ্রহ করে। তারা জানিয়েছে, ৫৬ লক্ষ টাকা অনুদানের মধ্যে খরচ করেছে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা। মূলত অনশন, ধর্না, খাবার, পানীয়, স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন এবং আদালতের আইনি খরচেই খরচ হয়েছে এই অর্থ।
মহালয়ার পদযাত্রা, ‘অভয়া ক্লিনিক’-এ খরচ
অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (MC RDA) অনুদান পেয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকার বেশি, যার মধ্যে ৫৭ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। তারা মূলত মিছিল, লালবাজার অভিযান, মহালয়ার পদযাত্রা, ‘অভয়া ক্লিনিক’ ও আইনি ব্যয়েই এই টাকা ব্যবহার করেছে।

প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা
তিনটি সংগঠনের সম্মিলিত হিসেবে এখনও ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার মতো বাকি আছে। আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, চলতি মামলাগুলিতে আইনি খরচ ও ‘অভয়া ক্লিনিক’কে সামনে রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদের অশান্ত অঞ্চলগুলিতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: Fake passport : ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় রাজ্যজুড়ে তল্লাশি, বিরাটিতে গ্রেফতার বাংলাদেশি ‘এজেন্ট’
আন্দোলনের পাশে নির্যাতিতার পরিবার
এই আন্দোলনের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাড়ে ছ’হাজারেরও বেশি ব্যক্তি এবং প্রায় ২৫০টি সংস্থা। গণকনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারও। তাঁরা স্পষ্ট করে বলেন, মেয়ে যাতে ন্যায়বিচার পায়, সেই চেষ্টাই তাঁদের লড়াইয়ের একমাত্র লক্ষ্য। আন্দোলনের পাশে থাকবেন তাঁরা, যেমনটি ছিলেন শুরু থেকে।