ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে দলেরই তিন সাংসদকে নিশানা করার পর রাজনৈতিক কোন্দল বেড়ে গেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কিছু ভিডিও এবং স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন, যেখানে দলের সাংসদদের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এদিকে, কল্যাণ সাংবাদিক বৈঠকে সতীর্থদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন।
বিরোধের সূচনা (Kalyan Banerjee)
৪ এপ্রিল, নির্বাচন কমিশনে স্মারক লিপি জমা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে বিরোধের (Kalyan Banerjee) সূচনা হয়। অভিযোগ রয়েছে, একাধিক সাংসদ মিলে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে, একজন সাংসদ সরাসরি কমিশনে হাজির হন, যা কল্যাণের ক্ষোভের কারণ। তিনি বলেন, “এদের মধ্যে কোনও অবদান নেই। কংগ্রেসের কোনও বড় নেতার বান্ধবী হয়ে দলের রাজনীতিতে ঢুকেছেন।”
সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ
কল্যাণ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কেবল দলের স্বার্থে কথা বলেছি।” তিনি কীর্তি আজাদ এবং মহিলা সাংসদের প্রতি আক্রমণ করে বলেন, “তিনি আমাকে ছোটলোক বলেছেন। আমি সাধারণ মানুষের স্বার্থে কথা বলি। কিন্তু কিছু সাংসদ ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে ক্ষুণ্ণ করছেন।”
“দল বললে চলে যাব।”
কল্যাণ আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কথা বলুন, কিন্তু অমিত শাহ বা অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেন না?” তাঁর কথায়, “আমি দলের জন্য কাজ করি। কিন্তু এসব অসভ্যতা আর সহ্য করব না। দল বললে চলে যাব।”

ক্ষুণ্ণ দলের মর্যাদা
সৌগত রায়ও এই ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কল্যাণ তার বক্তব্যে সৌগতকেও টার্গেট করেছেন, “দলের ভাবমূর্তি অনেক কারণে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। নারদ কাণ্ডে তিনি জড়িত।”
আরও পড়ুন: Kissing In Cab: ক্যাবে বসে চুমু খাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ, হাতছাড়া করলেই লস!
দলের মধ্যে অসন্তোষ
সাংবাদিক বৈঠকের শেষে কল্যাণ জানান, “দিদি বললে চলে যাব। কিন্তু মহিলা সাংসদদের আচরণ আর সহ্য করব না।” তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল জনমনে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে এবং তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দলের মধ্যে অসন্তোষ এবং বিদ্বেষ কতদূর যাবে, তা দেখার বিষয়।