ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী কল্যাণী মন্ডল (Kalyani Mandal)। আজও সমান তালে ক্যামেরার সামনে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘আনন্দী’ (Anondi) ধারাবাহিকে ঠাম্মির ভূমিকায়। এই যে টলিউডে (Tollywood) দশকের পর দশক কাটাচ্ছেন, প্রবাহমান সময়ের তালে কতটা নিজেকে মানিয়ে নিলেন? টলিপাড়ার সেকাল আর একালের পার্থক্য কি তাঁকে খুব অসুবিধায় ফেলে? তাঁকে এখন কেন বড় পর্দায় দেখা যায় না? নানান অজানা কথা তিনি শেয়ার করলেন ট্রাইব টিভির সঙ্গে।
‘ঠাম্মি’র চরিত্রে অভিনয়ের কারণ (Kalyani Mandal)
‘আনন্দী’ ধারাবাহিকের ঠাম্মি চরিত্র নিয়ে যখন অভিনেত্রীর (Kalyani Mandal) কাছে অফার গিয়েছিল, তখন তিনি কেন ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন? আসলে চরিত্রটি তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল। সেই বিষয়ে তিনি ট্রাইব টিভিকে বলেন, “এই চরিত্রটির মধ্যে বেশ মজা আছে। ঠাম্মি অর্থাৎ বয়স্ক একজনের চরিত্র মানেই যে সব সময় খিটখিট করছে, মুখ ভার করে আছেন, ব্যাপারটা এরকম নয়। বাড়ির সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখেন এবং নিজেও খুব আনন্দ করতে ভালোবাসেন। কখনও নাচছেন , কখনও গান গাইছেন। সবার সঙ্গেই হেসে খেলে থাকছেন। আবার মাঝে মধ্যে শাসনও করছেন”। এই চরিত্রের মধ্যে অনেক কিছুই রয়েছে , যার কারণে অভিনেত্রী কল্যাণী মন্ডল এই চরিত্রের অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন।
বড় পর্দায় দেখা যায় না কেন? (Kalyani Mandal)
স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী, তাবড় তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। তারপর দূরদর্শনে ধারাবাহিক। সেই যে ধারাবাহিক শুরু হল, এখনও তিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করেই যাচ্ছেন (Kalyani Mandal)। ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভালো চরিত্র পেলে অবশ্যই বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, “যেহেতু আমরা সিরিয়াল করি, তাই প্রযোজক পরিচালকদের মধ্যে একটা ধারণা হয়ে গেছে যে আমরা সিরিয়াল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। তা কিন্তু নয়। আমরা সিরিয়াল করতে করতেও ছবির কাজ করতে পারি। আগেও সিরিয়ালের পাশাপাশি ছবির কাজ করতাম। কিন্তু এখন আর কেউ ডাকে না”।
আরও পড়ুন: Aparajita Auddy: কাজ পাওয়ার জন্য পার্টিতে যেতে হয় না, বললেন অপরাজিতা আঢ্য

মিস করেন অতীতের স্মৃতি
উত্তম কুমারের সময়ে সেটের আড্ডা, আর এখনকার মেকআপ রুমের আড্ডার মধ্যে কতটা পার্থক্য? অভিনেত্রী বলেন, “আগে আমরা মেকআপ রুমে কেউ চুপচাপ বসে থাকতাম না, খোলামেলা একটা জায়গায় সবাই মিলে হই হুল্লোড় করতাম। তারপর যার যখন ডাক পড়ত, সে তখন গিয়ে সিনটা করে আসত। আর এখন সবাই ঘর ভিত্তিক। মোবাইল নামক একটা যন্ত্র এসে গেছে। ওটাই খুব মুশকিল করে দিচ্ছে। ফ্লোরেও দেখি সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আগে ফ্যানেদের কত চিঠি আসত। বিয়ের নিমন্ত্রণ হত, কার্ডে হলুদ লাগিয়ে। এখন সেসব অতীত। এখন তো হোয়াটস অ্যাপেও বিয়ের নিমন্ত্রণ হচ্ছে”। অতীতগুলো ভীষণ মিস করেন অভিনেত্রী। তার জন্য ভীষণ মন খারাপও হয়।
আরও পড়ুন: Sonu Nigam: কলকাতায় মেজাজ হারালেন সোনু নিগম, ভোটে দাঁড়াতে বললেন দর্শকদের!
সেটে বকা খেতেন অভিনেত্রী
কল্যাণী মন্ডলের বক্তব্য, একটা সময় তিনি যাদের সাথে ছবির কাজ করেছেন তারা প্রত্যেকেই এক একজন স্বনামধন্য ছিলেন। সৌমিত্র চ্যাটার্জি, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপ কুমার, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চ্যাটার্জি, সুপ্রিয়া দেবী। তখন অভিনেত্রী কল্যাণী মন্ডলের বয়সটা অনেকটা কম। তিনি ফ্লোরে কাউকে ভয় পেতেন না। তখন একটা সম্পর্ক তৈরি হত। কালজয়ী ওই তারকাদের কাছ থেকে যেমন তিনি আদর পেয়েছেন, তেমন বকাও খেয়েছেন।