ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টলিউড অভিনেত্রী (Tollywood actress) ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) বাড়িতে হঠাৎ হাজির শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন (Kanchan-Sreemoyee)। কিন্তু কেন? বর্তমানে যেন একটু বেশি পার্টি মুডে রয়েছে টলিপাড়ার এই জুটি। আসলে সম্প্রতি প্রেম দিবস গিয়েছে। আবার প্রেম দিবসেই ছিল শ্রীময়ী-কাঞ্চনের বিবাহ বার্ষিকী। তারপর ভুরিভোজ সারলেন ঋতুপর্ণার বাড়িতে। পেলেন বিশেষ সারপ্রাইজ।
প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর জমজমাট সেলিব্রেশন (Kanchan-Sreemoyee)
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন ছিল কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের (Sreemoyee Chattoraj) প্রথম বিবাহ বার্ষিকী (Kanchan-Sreemoyee)। এই বিশেষ দিনে দুজনকে রীতিমত জমজমাট ডিনার পার্টিতে দেখা গিয়েছে। তাও আবার তিলোত্তমার এক ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁয়। বিয়ের প্রথম জন্মদিন বলে কথা। দারুণ ভাবে সেলিব্রেশন করেছেন তাঁরা। বাজি ফাটিয়ে, রোমান্টিক মুডে মেতেছিলেন কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী। সেই সেলিব্রেশনের রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে।
কী লিখলেন শ্রীময়ী? (Kanchan-Sreemoyee)
সম্প্রতি শ্রীময়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন খুশির অনুভূতির কিছু কথা (Kanchan-Sreemoyee)। লেখেন, “চলার পথে আমার ২৮ বছরের যাত্রায় বেশ কিছু মানুষের সাথে আলাপ হয়েছে। মানুষ চিনেছি, মানুষ দেখেছি, বিশ্বাস করুন আমি কালকে রাত্রের পর অবাক হয়ে গেছি, যে মানুষ এরকমও হয়। আমরা তো জীবনে কিছু করলাম কি করলাম না, তার আগেই নিজেদের স্টার ভাবতে, সুপারস্টার ভাবতে, মেগাস্টার ভাবতে শুরু করে দিই। মানুষকে অহংকার দেখাতে শুরু করি। বেশিরভাগ মানুষ এখন জাজমেন্টাল হয়ে মানুষকে ছোট করতে শুরু করে। মানুষকে নিয়ে কথা বলতে শুরু করে”।
তিনি আরও লেখেন, “কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মানুষটিকে দেখে এখনও কিছু শেখার আছে । আমাদের সাথে একদিন একটা অনুষ্ঠানে আলাপ হয়েছিল। সেখান থেকে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। বন্ধুত্ব, হ্যাঁ বন্ধুত্বই বলব। কারণ আমার থেকে বয়সে বড় হলেও, বন্ধুত্বের সম্পর্কের আগে কোনও সম্পর্কই হয় না এবং তারপর উনি আমাদের কালকে আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর ট্রিট দিলেন ওনার বাড়িতে”।
আরও পড়ুন: Nazarbandi: সাইবার ক্রাইমের জালে ঋতুপর্ণা! অপরাধীদের কড়া নজরে অভিনেত্রী
ঋতুপর্ণার বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা
শ্রীময়ী আরও লেখেন, “আমি বুঝতেই পারলাম না, কিভাবে সময়টা ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেল। কখন রাত দুটো বেজে গেল, শুধু আড্ডা মারতে মারতে, বুঝতেই পারলাম না। আড্ডা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। কাঞ্চন আর ঋতুদির কথোপকথন শুনে। কারণ আমার তো কোনও যোগ্যতাই নেই, ওনাদের অভিনয় নিয়ে কথা বলার বা ওনাদের শিক্ষা ওনাদের অভিজ্ঞতার কাছে আমি একজন নগণ্য। কিভাবে দুজন শিল্পী নিজেদের ভালো ভালো সিনেমা সহ কাজ নিয়ে কথা বলতে বলতে স্মৃতিচারণ করে তাদের দুজনের চোখের জল চলে এল, হয়ত একেই বলে শিল্পী”।
আরও পড়ুন: Udit Narayan: ভরা অনুষ্ঠানে উদিত নারায়ণের কাছে চুম্বনের দাবি, আবারও নতুন বিতর্ক!
ভুরিভোজের মেনু
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে শ্রীময়ী এবং কাঞ্চনকে খাইয়েছেন লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, বাঁধাকপির তরকারি থেকে শুরু করে চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ভাত, মটন, দই কাতলা, কুলের চাটনি, রসমালাই মিষ্টি সহ অনেক কিছু। আর সব খাবারই বাড়িতে বানানো। এখনও এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো যেন শ্রীময়ী বিশ্বাস করতে পারছেন না। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছে কৃতজ্ঞ। ওই সন্ধ্যা সারা জীবন তাঁর কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে।